করোনা আক্রান্তের জায়গা হচ্ছে না হাসপাতালে, আধিকারিককে চিঠি মান্নানের

জেলায় এই মুহূর্তে একমাত্র ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালই কোভিড হাসপাতাল। সেখানে মাত্র ১৪টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এবং তাতে এই মুহূর্তে রোগী ভর্তি।

করোনা আক্রান্তের জায়গা হচ্ছে না হাসপাতালে, আধিকারিককে চিঠি মান্নানের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2021 | 9:30 PM

হুগলি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। এই প্রেক্ষিতে হুগলির চুঁচুড়ার করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর আবেদন করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের ( Abdul Mannan)। করোনা আক্রান্তদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে সিএমওএইচ কে চিঠি দিলেন তিনি।

হুগলি জেলার CMOH শুভ্রাংশু চক্রবর্তীকে এক চিঠিতে আব্দুল মান্নান লেখেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে জেলা হাসপাতালগুলিতে জায়গার অভাব। তাঁর কাছে বহু মানুষ আবেদন করছেন সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর। এই প্রেক্ষিতে আধিকারিককে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

আব্দুল মান্নানের ছবি

কংগ্রেসের বিদায়ী বিধায়ক লিখেছেন, বেসরকারি হাসপাতালে মোটা টাকা খরচ করে চিকিৎসা করার মতো সামর্থ নেই অধিকাংশ মানুষের। তাই জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে কীভাবে শয্যা সংখ্যা ও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে পদক্ষেপ করতে আবেদন করেন মান্নান।

করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হুগলি জেলা হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালগুলোতেও টিকা নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ব্লক এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতেও চলছে করোনা টিকাকরণ। চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় তিনশো জন করে টিকা নিচ্ছেন। করোনা পরীক্ষাও বাড়ানো হয়েছে। তবে জেলা হাসপাতালে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজাই রাখতে দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানাচ্ছেন, সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়, কারণ জনসংখ্যা একটা বড় সমস্যা। আর যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সেখানে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব। ফলে চৈত্রের রোদে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই ওই ভাবে বসতে হচ্ছে।

বর্তমানে জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন ১০০ জন করে RTPCR ও RAT পরীক্ষা হচ্ছে। আগে RTPCR-এর জন্য নাইসেড, কলকাতা মেডিকেল কলেজ অথবা এসএসকেএম এর ল্যাবে পাঠানো হত। এখন জেলা হাসপাতালের ল্যাবেই পরীক্ষা করানো যাচ্ছে। যে সমস্ত রোগী উপসর্গ নিয়ে আসছেন তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। করোনা পজিটিভ হলে তাদের ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালকে ১০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। ১৪ টি ICU বেড রয়েছে। ১৪ জন আইসিইউ তে ৩৮ জন সাধারণ বেডে ভর্তি আছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে। যাঁরা পজিটিভ অথচ উপসর্গ তেমন নেই, তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকছেন।

আরও পড়ুন: নতুন করে বাড়ছে সংক্রমণ, কোভিড পরিষেবায় ৩৭৮টি বেড চালু রাখার নির্দেশ রাজ্যের

আর যাঁদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তারা আইসিইউ-তে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু জেলায় এই মুহূর্তে একমাত্র ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালই কোভিড হাসপাতাল। সেখানে মাত্র ১৪টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এবং তাতে এই মুহূর্তে রোগী ভর্তি। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসা করাও সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষিতে হুগলি জেলার CMOH শুভ্রাংশু চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানালেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।