Agitation: ৯ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পুরকর্মীদের, পুরপ্রধান বললেন, ‘আগামিদিনে কাটা হবে বেতন’

Hooghly: আন্দোলনকারীদের ৯ দফা দাবি রয়েছে। এর মধ্যে দাবি প্রথম দাবিই মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন সুনিশ্চিত করা হোক। এখন তাঁরা দিন প্রতি ২৭০ টাকা করে পান। অথচ পুরসভায় সাফাই, ইলেকট্রিকাল, জলের পাইপ লাইনের কাজ, জলের পাম্প চালানোর কাজ সবই করেন তাঁরা। আরও অন্যান্য একাধিক কাজ আছে।

Agitation: ৯ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পুরকর্মীদের, পুরপ্রধান বললেন, 'আগামিদিনে কাটা হবে বেতন'
প্রতিবাদে অস্থায়ী কর্মীরা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2024 | 4:38 PM

হুগলি: বারবার দাবি তোলা হলেও অস্থায়ী কর্মীদের বাড়ানো হয়নি বেতন। প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতিতে বসলেন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের ডাকে এই প্রতিবাদ দেখানো হয় সোমবার। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত এক বছরে নানা জায়গায় তাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন।  তাতে কোনও সঠিক পথ মেলেনি। এবার হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা একদিনের জন্য কর্মবিরতিতে বসলেন।

আন্দোলনকারীদের ৯ দফা দাবি রয়েছে। এর মধ্যে দাবি প্রথম দাবিই মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন সুনিশ্চিত করা হোক। এখন তাঁরা দিন প্রতি ২৭০ টাকা করে পান। অথচ পুরসভায় সাফাই, ইলেকট্রিকাল, জলের পাইপ লাইনের কাজ, জলের পাম্প চালানোর কাজ সবই করেন তাঁরা। আরও অন্যান্য একাধিক কাজ আছে। বেতন বাড়ানোর দাবির পাশাপাশি পিএফের সকলকে শ্রমিককে আনার কথাও বলেছেন তাঁরা। তাঁরা জানান, বারবার পুরপ্রধানকে এ নিয়ে বলা হলেও তিনি কিছুই করেননি।

এদিন আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামিদিনে তাঁদের দাবি না মানা হলে পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ডের কাজ বন্ধ রাখবেন। সোমবার সকাল থেকেই পুরসভার গেটের পাশে অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ সভা করেন তাঁরা। যদিও পুরপ্রধান অমিত রায়ের বক্তব্য, “রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি অস্থায়ী কর্মী আমাদের এখানেই আছেন, নিয়ম করে বেতন পান তাঁরা। এক বছর আগে তাঁদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। তবে এমনও অনেকে আছেন কাজ না করে যাঁরা বেতন পান।”

পুরপ্রধানের বক্তব্য, কাজ বন্ধ রেখে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বরং এতে মানুষের প্রাপ্য পরিষেবা ব্যহত হয়। অমিত রায়ের হুঁশিয়ারি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এমন অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। আগামিদিনে কাজ বন্ধ করে পুরসভাকে অচল করে দেওয়া হলে বেতনও বন্ধ থাকবে।” বেআইনি ধর্মঘট করলে ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাক্ট অনুযায়ী তাদের বহিষ্কারও করা হতে পারে।