Madhyamik 2024: বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পুলিশের বাইকে চড়ে মাধ্যমিক দিতে এল ছাত্রী

Hooghly: শ্রীরামপুরের ছোট বেলুড় এলাকার বাসিন্দা সঙ্গীতা ঘোষ নবগ্রাম কেডি পাল স্কুলের ছাত্রী। রাজ্যধরপুর নেতাজি হাইস্কুলে তার মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। সেই সঙ্গীতাই আজ অ্যাডমিট কার্ড ফেলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সে সময় ডিউটি করছিলেন মহিলা কনস্টেবল নিতু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কনস্টেবল শৈলেন দণ্ডপাট। তাঁরাই বিষয়টি শ্রীরামপুর ট্রাফিকে কর্মরত সাবইন্সপেক্টর সুব্রত ধরকে জানান।

Madhyamik 2024: বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পুলিশের বাইকে চড়ে মাধ্যমিক দিতে এল ছাত্রী
সঙ্গীতার কাছে এই পুলিশই এখন ত্রাতা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 6:45 PM

হুগলি: পরীক্ষা মানে অতিরিক্ত স্নায়ুর চাপ কাজ করেই। আর তা যদি মাধ্যমিক হয়, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, তাহলে তো কথাই নেই। সেই মাধ্যমিক দিতে আসার আগে বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ফেলে চলে এসেছিল এক ছাত্রী। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অঝোরে কাঁদতে থাকে সে। তা দেখে এক পুলিশ কর্মী এগিয়ে আসেন। বাইকে চাপিয়ে সেই ছাত্রীকে নিয়ে সোজা তার বাড়িতে যান। পরীক্ষার্থী বাড়ি থেকে অ্যাডমিট নিয়ে একেবারে সময়ের মধ্যেই পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে চলে আসে।

শ্রীরামপুরের ছোট বেলুড় এলাকার বাসিন্দা সঙ্গীতা ঘোষ নবগ্রাম কেডি পাল স্কুলের ছাত্রী। রাজ্যধরপুর নেতাজি হাইস্কুলে তার মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। সেই সঙ্গীতাই আজ অ্যাডমিট কার্ড ফেলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সে সময় ডিউটি করছিলেন মহিলা কনস্টেবল নিতু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কনস্টেবল শৈলেন দণ্ডপাট। তাঁরাই বিষয়টি শ্রীরামপুর ট্রাফিকে কর্মরত সাবইন্সপেক্টর সুব্রত ধরকে জানান।

সে সময় তিনি দুই সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে জিটি রোডে ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সুব্রতবাবু পৌঁছে যান ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে। দেখেন সঙ্গীতা তখনও কেঁদেই চলেছে। তিনিই ছাত্রীকে নিয়ে ছোট বেলুড়ে যান। এমন ঘটনায় দারুণ খুশি ছাত্রীর পরিবার।

সঙ্গীতার বক্তব্য, “তাড়াতাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড বাড়িতেই ফেলে চলে আসি। খুব ভয় পেয়ে যাই। কেঁদে ফেলি ভয়ে। সে সময় পুলিশকাকু এসে সবটা শোনেন। তিনিই নিজের বাইকে করে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান। অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে আবারও পরীক্ষাকেন্দ্রে আসি। এটা না আনলে তো পরীক্ষাই দিতে পারতাম না।” তবে ওই সুব্রত ধর বলছেন, তিনি যা করেছেন সেটাই তাঁর করার কথা।