Hooghly Hospital: নার্সদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে, বিধায়ক বললেন ‘হেমা মালিনীর নাচ দেখতে তো যাইনি’

Hooghly Hospital: বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোমবার সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন নার্সরা। তাঁদের ইউনিটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ক্ষমা চাইতে হবে বিধায়ককে। নার্সের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলেও দাবি জানানো হয়েছে। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।

Hooghly Hospital: নার্সদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে, বিধায়ক বললেন 'হেমা মালিনীর নাচ দেখতে তো যাইনি'
বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 6:43 PM

হুগলি: রাতে হাসপাতালে গিয়ে বিধায়ক দলবল নিয়ে অপমান করেছেন কর্তব্যরত নার্সকে। এমনই অভিযোগে উত্তপ্ত হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের নার্সিং স্টাফরা। সোমবার কালো ব্যাজ পরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুপারের ঘরে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। মিছিল করে গিয়ে সিএমওএইচ-এর কাছে জমা দেন স্মারকলিপিও। তাঁদের দাবি, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসপাতালের ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স বন্দনা দত্তগুপ্তকে অপমান করা হয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগে আমল দিতে রাজি নন বিধায়ক। তাঁর দাবি, রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েই তিনি গিয়েছিলেন হাসপাতালে।

বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোমবার সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন নার্সরা। তাঁদের ইউনিটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ক্ষমা চাইতে হবে বিধায়ককে। নার্সের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলেও দাবি জানানো হয়েছে। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।

হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল জানান, সিএমওএইচ-কে এই অভিযোগের কথা জানাবেন তিনি। নার্সেস ইউনিটের রাজ্য সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, সেদিন ওই নার্সিং স্টাফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। রোগীর বাড়ির লোক যেটা বললেন সেটা সত্যি হয়ে গেল, আর নার্স যেটা বললেন সেটা মিথ্যা! রোগী পরিষেরা কীভাবে দিতে হয়, বিধায়কের সঙ্গে আসা কাউন্সিলররা বোঝাচ্ছিলেন। এতেই আপত্তি নার্সদের। তাঁদের দাবি, এসব না বলে পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে।

এই বিষয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “ওই দিনের ঘটনার প্রমাণ স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সুপার ও সিএমওএইচ। ওরা আন্দোলন করতেই পারেন, কিন্তু আমি সাধারণ মানুষের জন্য গিয়েছি। আমার ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ওখানে অত রাতে হেমা মালিনীর নাচ দেখতে যাইনি। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিলাম।” নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিজেপির হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, এর আগেও নার্সদের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। হাসপাতালের মহিলা বিভাগে কেন এভাবে ঢুকলেন বিধায়ক, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিজেপি।