Death during immersion: প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে দু’পাড়ার সংঘর্ষ, মৃত ১
Death during immersion: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সাগর স্থানীয় মনসা মাতা মিলন সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ডিহিবায়রার সঙ্গে স্থানীপান পাড়ার লোকজনের গণ্ডগোল হয় বিসর্জনকে কেন্দ্র করে।
হুগলি: প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ মৃত্যু এক জনের। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়ন। এমনকি খবর করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সাংবাদিকরাও। আরামবাগের ডিহিবাইড়া এলাকার ঘটনা। দিঘির ঘাটে ঠাকুর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই পাড়ার মধ্যে গণ্ডগোলকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরামবাগের ডিহিবায়রা গ্রামে। ঘটনার জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় হাজির হয় বিশাল বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাগর থান্ডার (২০)। তিনি রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন। তাঁর বাবা সুনীল থান্ডারও একই কাজ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সাগর স্থানীয় মনসা মাতা মিলন সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ডিহিবায়রার সঙ্গে স্থানীপান পাড়ার লোকজনের গণ্ডগোল হয় বিসর্জনকে কেন্দ্র করে।
অভিযোগ, বুধবার বিকালে পান পাড়ার লোকজন স্থানীয় একটি দিঘির ঘাটে তাদের ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন দিতে যান। আর তাতেই আপত্তি করেন দিঘির পাশাপাশি ডিহিবায়রার লোকজন। সেখানে সাগরও প্রতিবাদ করেন। তখনই উভয়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় যায় আরামবাগ থানার পুলিশ।
সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও সন্ধ্যায় ফের উত্তেজনা বাড়ে। তখনই পান পাড়ার কয়েক জন সাগরকে তুলে নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। এর পরে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। পরে দেখা যায় দিঘির কাছাকাছি স্থানে তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ সাগরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সাংবাদিকদেরও ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা-হুমকির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকা পুরোপুরি উত্তপ্ত। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।