Hooghly: ২ মাস ধরে প্ল্যাটফর্মে, পুর প্রধানের চেষ্টায় অবশেষে বৃদ্ধার ঠাঁই বৃদ্ধাবাসে
Hooghly: জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে প্রায় দু'মাস ধরে পড়ে ছিলেন এক বৃদ্ধা।
হুগলি: গত ২ মাস ধরে উত্তরপাড়া স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মই আস্তানা। প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে শুয়ে থাকতে দেখেছেন নিত্যযাত্রীরা। তেমনই কয়েকদিন দেখার পর বৃদ্ধার কাছে এগিয়ে যান উত্তরপাড়া মাখলার বাসিন্দা দেবাশিস মজুমদার। বৃদ্ধার কথা শুনে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি দেন।আর্থিক সাহায্যও করেন। বৃদ্ধার এই অবস্থার কথা কানে যায় উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবের কাছে।অবশেষে ঠাঁই মিলল বৃদ্ধার।উত্তরপাড়ার পুর প্রধান দিলীপ যাদবের চেষ্টায় নবগ্রামে একটি বৃদ্ধাবাসে থাকার ব্যবস্থা হল তাঁর।
জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে প্রায় দু’মাস ধরে পড়ে ছিলেন এক বৃদ্ধা। প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বসার জায়গাতেই থাকছিলেন।কয়েকদিন আগে মাখলার বাসিন্দা দেবাশিস মজুমদার অফিসে যাওয়ার সময় তাঁকে দেখেন। কিছু খাবার দেন। পরে নিয়মিত খোঁজ নিতে থাকেন। তাঁর খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও করেন। বৃদ্ধার বাড়ি কোথায়, কে আছে পরিবারে সে বিষয়ে জানতে সামাজিক মাধ্যমের সাহায্য নেন।কিন্তু তাতে কাজ হয় না।
বৃদ্ধা তাঁকে জানিয়েছিলেন, স্টেশনে থাকতে তাঁর খুব কষ্ট হয়। তার জন্য একটা আস্তানার ব্যবস্থা করতে। এই খবর সম্প্রচার করে প্রথম Tv9 বাংলা।এরপর রবিবার রাত্রিবেলা উত্তরপাড়ার পুর প্রধান দিলীপ যাদব স্টেশনে গিয়ে বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। কোন্নগর নবগ্রামে একটি বৃদ্ধাবাসে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেন।
এই বিষয়ে দিলীপ যাদব বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যম এবং ফেসবুক থেকে বৃদ্ধার কথা জানতে পারি। তাঁর থাকার একটা ব্যবস্থা করি। কানাইপুর পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছে লাল যাবদ সত্য ভারতীতে থাকার বন্দোবস্ত করে দেন।অ্যাম্বুলেন্সে করে বৃদ্ধাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর যা-যা করার সবটাই করা হবে। নতুন আশ্রয় পেয়ে খুশি বৃদ্ধাও।’
আচ্ছেলাল যাদব বলেন, ‘বৃদ্ধা যতদিন থাকতে চান হোমে তাঁকে রাখা হবে।সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে আমরা প্রচার করব যদি ওনার বাড়ির বা পরিবারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়। বৃদ্ধা মানসিক ভারসাম্যহীন নন কিছুটা স্মৃতি লোপ পেয়েছে।’