OLX Car fraud: OLX-এর বিজ্ঞাপন দেখে এল ক্রেতা, তারপর গাড়ি নিয়ে ‘ভ্যানিশ’… ব্যাঙ্কে গিয়ে এ কি দেখলেন মালিক!

OLX Car fraud: ড্রাফট পেয়েই নিশ্চিন্তে গাড়ি দিয়ে দিয়েছিলেন গাড়ির মালিক। দীর্ঘ তিন মাস পর পেলেন সেই গাড়ির সন্ধান।

OLX Car fraud: OLX-এর বিজ্ঞাপন দেখে এল ক্রেতা, তারপর গাড়ি নিয়ে 'ভ্যানিশ'... ব্যাঙ্কে গিয়ে এ কি দেখলেন মালিক!
এই সেই লাল গাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 11:30 AM

হুগলি : অনলাইন কেনাকাটার যুগে প্রতারণার ফাঁদ পাতা থাকে প্রায় সর্বত্রই। তারপরও ভরসা করে সেই অনলাইনেই কেনা- বেচা করে থাকেন অনেকে। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলিকে বিশ্বাস করেন চোখ বন্ধ করে। কিন্তু, প্রতারণার জালে ৫ লক্ষ টাকার বেশি খোয়াতে হবে, তা ভাবেননি হুগলির বাসিন্দা সরাজ ঘোষ। গাড়ির বিজ্ঞাপন দেখে এক ক্রেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এসে চেক দিয়ে গাড়ি নিয়েও চলে যান তিনি। কিন্তু ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি দেখেন, চেকটাই ভুয়ো। তিন মাস পর হল কিণারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুড়াপের মাজিনানের বাসিন্দা সরাজ ঘোষ তাঁর একটি মারুতি আর্টিগা গাড়ি বিক্রি করবেন বলে ওএলএক্সে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বছর খানেক আগে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার কয়েকদিন পর একজন যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় গাড়ি বিক্রির কথা চূড়ান্ত হয়। একজন চালককে ব্যাঙ্কের ড্রাফট দিয়ে গাড়ি আনতে পাঠিয়ে দেন ওই ক্রেতা। সরাজ ঘোষের হাতে সেই ড্রাফট দেন ওই চালক। গাড়ি নিয়ে চলেও যান তিনি।

ব্যাঙ্কে ড্রাফট ভাঙাতে সরাজ জানতে পারেন জাল ড্রাফট দিয়ে গাড়ি নিয়ে গিয়েছে প্রতারক। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়ে ব্যবসায়ীর। এরপর গুড়াপ থানায় অভিযোগ জানান তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মাস তিনেক পর কলকাতা থেকে সেই চালককে গ্রেফতার করা হয়। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চালককে ভাড়া করা হয়েছিল প্রতারণার জন্য। তাঁকে চেক দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। কলকাতার একটি জায়গায় রেখে দিতেও বলা হয়েছিল। সেইমত কাজ করেন তিনি।

সরাজ ঘোষ তাঁর গাড়ি পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিতে বসেছিলেন। এমন সময় গুড়াপ থানার ওসি প্রসেনজিৎ ঘোষের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে, সিঙ্গুরে দেখা গিয়েছে লাল রঙের সেই আর্টিগা গাড়িটি। গাড়িটিকে ফলো করে পুলিশ। সিঙ্গুরের দলুইগাছায় এক মহিলার নামে গাড়িটি কেনা হয়েছিল বলে জানা যায়। সোমবার গাড়িটি উদ্ধার করেছে গুড়াপ থানার পুলিশ। জানা যায়, সারে চার লক্ষ টাকায় শ্রীরামপুরের এক পুরনো গাড়ির শোরুম থেকে গাড়িটি কিনেছিলেন ওই মহিলা।

দলুইগাছার যে মহিলার নামে গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন হয় তিনি দাবি করেছেন, চোরাই গাড়ি না জেনেই গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ আরটিও অফিসের কেউ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। শ্রীরামপুরের শোরুমে গাড়িটি কী ভাবে এল, কার থেকে কেনা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের অনুমান এই চক্রের হাত অনেক লম্বা।