Hooghly Body Recovered : সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে আর ফেরেনি, একদিন পর নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ

Hooghly : সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল যুবক। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা বার বার তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ফোন বেজে গেলেও কোনও সারা মেলেনি।

Hooghly Body Recovered : সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে আর ফেরেনি, একদিন পর নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ
নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 7:57 PM

হুগলি : সোমবার দুপুর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে মঙ্গলবার অসম লিঙ্ক রোডের পাশ থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরায় পালপাড়া এলাকায়। দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম শম্ভু দত্ত (৩৩)। বাড়ি ত্রিবেণীর উত্তর বেনীপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল যুবক। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা বার বার তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ফোন বেজে গেলেও কোনও সারা মেলেনি। শেষে মগরা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে পরিবার। সেই মতো পুলিশের তরফ থেকে যুবকের খোঁজ শুরু করা হয়।

শম্ভু দত্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশান দেখে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শেষে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ পালপাড়ার কাছে নয়ানজুলিতে যুবকের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে। যে সাইকেলটি নিয়ে শম্ভু বেরিয়েছিল, সেই সাইকেলটিও পাশে পরে থাকতে দেখা যায়। পরিবার সূত্রে খবর, পরশু (রবিবার) জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন শম্ভু। গতকাল সকালে সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন। সোমবার মাকে বলে বেরিয়েছিল, একটু কাজে বেরোচ্ছে। টিনের ছাউনি তেরির কাজ করতেন শম্ভু। তাঁর বাবা স্বপন দত্তর অভিযোগ, ছেলেকে কেউ খুন করেছে। কাজের জায়গায় একজনের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল বলেও দাবি মৃতের বাবার।

নয়ানজুলি থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মগরা থানার পুলিশ। তবে মৃতের শরীরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শম্ভু দত্তের এই মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ… সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এদিকে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই মৃত যুবক মৃগী রোগ ছিল।