Hooghly: স্ত্রী রেগে বাপেরবাড়িতে, মানভঞ্জন করাতে পৌঁছন স্বামীও, তা বলে প্রকাশ্যেই সারা শরীরে এমন…দৃশ্য দেখতে ছোটাছুটি পাড়ায়

Hooghly: পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রায় এক সপ্তাহ আগে জয়নগরে শশুরবাড়ি থেকে কামারপুকুরে বাপের বাড়িতে চলে যান সুস্মিতা।  স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার দুপুরে কামারপুকুরে শশুরবাড়িতে যান রাজেশ।

Hooghly: স্ত্রী রেগে বাপেরবাড়িতে, মানভঞ্জন করাতে পৌঁছন স্বামীও, তা বলে প্রকাশ্যেই সারা শরীরে এমন...দৃশ্য দেখতে ছোটাছুটি পাড়ায়
গোঘাটে ভয়ঙ্কর ঘটনাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2024 | 8:09 PM

হুগলি: ঝামেলা করে স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন বাপের বাড়িতে। স্ত্রীকে ফেরত আনতে গিয়েছিলেন স্বামী। মানভঞ্জনের পালায় এ কী করে ফেললেন! স্ত্রীর সারা শরীরের ছুরি চালিয়ে দিলেন স্বামী, তারপর নিজেকেই শেষ করে করে দেওয়ার চেষ্টা। স্ত্রী নিয়ে যখন চলছে ছোটাছুটি, তখন ঘরে ঢুকে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে গেলেন তিনিও।  পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করে আত্মঘাতী স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে  গোঘাটের কামারপুকুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজেশ দাস। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত গৃহবধূ সুস্মিতা দাস কামারপুকুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রায় এক সপ্তাহ আগে জয়নগরে শশুরবাড়ি থেকে কামারপুকুরে বাপের বাড়িতে চলে যান সুস্মিতা।  স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার দুপুরে কামারপুকুরে শশুরবাড়িতে যান রাজেশ।

স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীকে মানাতে গিয়ে ফের ঝামেলা হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন অতর্কিতে একটি ছুরি দিয়ে সুস্মিতার সারা শরীরের আঘাত করতে থাকেন রাজেশ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুস্মিতা। মেয়ের গোঙানি শুনতে পেয়েই ছুটে আসেন তাঁর বাবা। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন সুস্মিতার বাবাও।

সুস্মিতা ও তাঁর বাবাকে নিয়ে যখন বাকিদের ছোটাছুটি পড়ে যায়, তখন রাজেশ শ্বশুরবাড়িরই একটা ঘরে চলে যান। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে।  যদিও ঠিক কী কারণে এই অশান্তি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনাস্থলে গোঘাট থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এক প্রতিবেশী বললেন, “বাড়ির ছাদের কোণায় অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলছিল। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো হয়ই। বাড়ির লোকও মাঝে আসেনি। পরে যখন ভীষণ চিৎকার, বাঁচাও বাঁচাও শুনতে পাই, তখনই ছুটে আসি আমরা সবাই।”