Hooghly: ‘গর্ভে সন্তান নিয়ে যাওয়াই যায় না’, গর্তে ভরা রাস্তা শেষ করে দিচ্ছে এলাকাবাসীকে
Hooghly: হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঝাঁপপুকুরের ঘটনা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গোটা রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা। পুরসভাকে জানিয়েছেন একাধিকবার। তবে কোনও সুরাহা হয়নি। বস্তুত, হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে একটি মাত্র এই ওয়ার্ডটিই বামেদের দখলে রয়েছে।
হুগলি: বড়-বড় গর্ত রয়েছে রাস্তায়। অল্প বৃষ্টিতেই জমে জল। বলা ভাল সারা বছরই জল জমে থাকে। তার জেরে এলাকায় ঢুকতে চায় না টোটো থেকে শুরু করে ছোট গাড়ি। যার জেরে চরম অসুবিধায় পড়েন প্রসূতিরা। না চিকিৎসকরা আসতে পারেন। না প্রসূতিদের নিয়ে যাওয়া যায় হাসপাতালে। কার্যত নাভিশ্বাস হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঝাঁপপুকুরের ঘটনা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গোটা রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা। পুরসভাকে জানিয়েছেন একাধিকবার। তবে কোনও সুরাহা হয়নি। বস্তুত, হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে একটি মাত্র এই ওয়ার্ডটিই বামেদের দখলে রয়েছে। বাকি ২৯ টি তৃণমূলের দখলে। এক নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বিপ্লব দাস জানান, “ঝাঁপপুকুর এলাকা দু’টি রাস্তা। ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত এবং পুরসভার এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। সেই রাস্তা এখন বিপদজনক হয়ে রয়েছে। বিষয়টি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে একাধিকবার জানানো হয়েছে। রাস্তাটা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি পুরসভার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো জানিয়েছি। চেষ্টা করছি দ্রুত সমস্যা মেটানোর।”
পুরসভার পূর্ত দফতরের পুর পারিষদ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, “ওই অঞ্চলের মানুষ কষ্ট ভোগ করছে এটা জানি।আমরা গত বছর গিয়ে মাপজোক করেছিলাম। প্যাচওয়ার্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল না থাকায় রাস্তার উপর জল উঠে এসে রাস্তা খারাপ হয়। আমরা ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেছি।ওখানে পিচের রাস্তা করলে থাকবে না। ঢালাই রাস্তা হবে। প্রসূতিদের সব থেকে বেশি কষ্ট।” এই নিয়ে এক এলাকাবাসী বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। বৃষ্টি হলে রাস্তায় জল জমে যায়। রাস্তা সারাই হয় না কিছু না।”