Hooghly: চা খেতে বেরিয়ে ওড়িশা থেকে চলে এলেন শ্রীরামপুর, ১০ দিন পর বৃদ্ধকে ছেলের হাতে তুলে দিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

Hooghly: জানা গিয়েছে, অজিত বৈদ্য ওড়িশার কেন্দ্রা পাড়ার কলটুংগা চাকাদা গোগুয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৭ তারিখে চা খেতে যাচ্ছি বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর স্থানীয় থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন।

Hooghly: চা খেতে বেরিয়ে ওড়িশা থেকে চলে এলেন শ্রীরামপুর, ১০ দিন পর বৃদ্ধকে ছেলের হাতে তুলে দিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
অজিত বৈদ্য Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2024 | 8:34 PM

হুগলি: চা খেতে বেরিয়েছিলেন। তারপর নিখোঁজ হয়ে যান বৃদ্ধ। কোনও ভাবেই খোঁজ মিলছিল না। পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে আবার বাড়ি ফিরলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের বাড়ি ওড়িশায়। কোনওভাবে ভুল করে চলে এসেছিলেন হুগলির শ্রীরামপুরে।

জানা গিয়েছে, অজিত বৈদ্য ওড়িশার কেন্দ্রা পাড়ার কলটুংগা চাকাদা গোগুয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৭ তারিখে চা খেতে যাচ্ছি বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর স্থানীয় থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। এর মধ্যেই গত ১৮ তারিখ হুগলির শ্রীরামপুর থানা এলাকায় ওই বৃদ্ধকে রাস্তায় ঘুরতে দেখা দেখেন কয়েকজন। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু বৃদ্ধের কথায় অসংলগ্নতা থাকায় সঠিক ঠিকানা বুঝতে অসুবিধা হয় তাঁদের।

এরপর তাঁরা থানার আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তী চুঁচুড়া আরোগ্যর কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চুঁচুড়ার এই সেচ্ছাসেবী সংস্থা ভবঘুরে অসহায় মানুষদের আশ্রয় দেয়। বৃদ্ধ বেশ কয়েকদিন তাঁদের আশ্রয়ে থাকেন। বৃদ্ধর সঙ্গে কথা বলে বাড়ির সঠিক ঠিকানার খোঁজ শুরু হয়। তবে বয়সজনিত কারণে কিছুটা স্মৃতি কিছুটা লোপ পেয়েছে তাঁর। তবে তাঁর ছেলের নাম থানার নাম জানাতে পারেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন। এরপর ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার মহাকালাপদ থানায় যোগাযোগ করে তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়।

শুক্রবার বৃদ্ধের ছেলে সঞ্জয় বৈদ্য চুঁচুড়ায় আসেন। তাঁর বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। সঞ্জয় বাবু জানান, “বাবার বয়স হয়েছে। তাই সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। প্রতিদিনের মতো চা খেতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন উনি। তারপর আর ফেরেননি। বাবাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পুলিশ এবং চুঁচুড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে।”