Hooghly: নবান্নে বৈঠকের দুদিনের মধ্যেই ফের বাংলায় ডাকাতি, চোখের পলকে সোনা লুঠে নিয়ে গেল দুই হিন্দিভাষী
Hooghly: দোকানের কর্মীরা জানাচ্ছেন, দোকান মালিক কিছু বোঝার আগেই সোনার চেন, আংটি-সহ একাধিক সোনার তৈরি সামগ্রী পকেটে ভরতে থাকেন। চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। দু'জনের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি করেন দোকানের মালিক।
হুগলির: বারাকপুর, ডোমজুড়ের পর এবার হুগলির বেগমপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। শনিবার দুপুরে দোকান বন্ধ করার সময় দুই দুষ্কৃতী ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে। দোকানের কর্মীরা বলছেন, দোকান এক প্রকার ফাঁকাই ছিল, সেই সুযোগকে কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। একজন দোকানে থাকা মালিককে একটার পর একটা গয়না দেখাতে বলেন। অপর জন দোকানের গেটের সামনেই বসে থাকেন।
দোকানের কর্মীরা জানাচ্ছেন, দোকান মালিক কিছু বোঝার আগেই সোনার চেন, আংটি-সহ একাধিক সোনার তৈরি সামগ্রী পকেটে ভরতে থাকেন। চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। দু’জনের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি করেন দোকানের মালিক। স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দু’জনই হিন্দিভাষী। তাঁদের আচরণে ও কথাবার্তা মনে হয়েছে বাংলার বাসিন্দা নন।
ঘটনার খবর পেয়ে দোকানে যায় পুলিশ। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। দুই দুষ্কৃতীর কার্যকলাপ সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইতি মধ্যেই চণ্ডীতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত এলাকার ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, ঠিক দুদিন আগেই রাজ্যে ডাকাতির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁরা জানান,ভিন রাজ্যের সীমানা দিয়ে বাংলায় আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে। ভিন রাজ্যের ডাকাত দলও টার্গেট করছে বাংলাকে। তার মধ্যেই আবারও ডাকাতি।