Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টা সাতেক! মুখের ওপর জানলা বন্ধ করে সাফ বললেন, ‘আজ আর নয়…’

Hooghly: এই কথা জানার পর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টা সাতেক! মুখের ওপর জানলা বন্ধ করে সাফ বললেন, 'আজ আর নয়...'
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 9:34 AM

হুগলি: ৬-৭ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি তুলতে না পেরে বিক্ষোভ উপভোক্তাদের। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পঞ্চায়েত কর্মীদের আটকে রেখে ভবনের সামনে দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ ।অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে উঠে বিক্ষোভ। হুগলির (Hooghly) গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েত কর্মীদের উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১ টা থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি তোলা হবে বলে জানানো হয়েছিল গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে। সেই মতো সকাল থেকেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে লাইন পড়ে যায়। বেলা বাড়তে বাড়তে দুপুর বিকাল ও সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়, তখনও ছবি তোলা হয়নি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের। অভিযোগ, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ জানানো হয় আর ছবি তোলা হবে না। আগামী ২৫ তারিখ নির্দিষ্ট সময়ে ছবি তোলা হবে।

এই কথা জানার পর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। রীতিমতো শোরগোল বেধে যায় গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। পঞ্চায়েত কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভে সামিল হন মহিলারাও।  গোঘাট থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করেন। পুলিশ তাঁদের বোঝালে বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা, পঞ্চায়েত কর্মীদের ছেড়েও দেন।

উল্লেখ্য দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অধীন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম ফিলাপ করার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের প্রয়োজন হয়। আর যাঁদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি তোলা হয়নি, তাঁরাই রবিবার সকাল থেকেই গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় করেন।

এক ব্যক্তির কথায়, “সকাল থেকে গরমের মধ্যে ঘেমেনেয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। সব কাজ বাকি ছিল। কোনও কাজই করলাম না। তারপর সন্ধ্যায় এসে শুনলাম আর ছবি তোলা হবে না। আমাদের কি সময়ের কোনও দাম নেই?”

আরেকজন বিক্ষোভকারীর কথায়, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে শেষ করতে পারবে না, তা তো ওরা আগেই বুঝতে পারছিল। আগে থেকে সময় বেঁধে সংখ্যা বেধে দেওয়া উচিত ছিল। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পা ব্যথা করার তো প্রয়োজন ছিল না আমাদের।”

যদিও পঞ্চায়েতের তরফে বলা হয়েছে, অনেক ভিড় হয়ে গিয়েছিল। এক টানাই কাজ চলছিল। কিন্তু এক দিনে সকলের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। তাই আরও একটি দিন ধার্য করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ত্রিপল টাঙানো ঘুপচিতে টর্চের আলোয় বিকোচ্ছিলেন ‘সেই নথি’! হাতেনাতে পাকড়াও তৃণমূল নেতা