Hooghly School: ‘সকালে খেয়েছিলুম, তাই এখন গন্ধ বেরোচ্ছে…’, মদ খেয়ে এসে স্কুলে বেমালুম বললেন হেড স্যর
Hooghly School: স্কুলে ঢুকতে না পেরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন শিক্ষকশিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিতে হবে বলেও দাবি তুললেন গ্রামবাসীরা।
হুগলি: ‘হেড স্যরের মদ খেয়ে স্কুলে আশা চলবে না।’ বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রীরা। বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখলেন অভিভাবকরা। তালা দেওয়া গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসেন স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। প্রতিবাদে চলল বিক্ষোভ। স্কুলে ঢুকতে না পেরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন শিক্ষকশিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিতে হবে বলেও দাবি তুললেন গ্রামবাসীরা। ঘটনা আরামবাগের দিয়ালপাড়া প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ।
অভিযোগ, আরামবাগের মলয়পুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দিয়ালপাড়া প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক মত্ত অবস্থায় আসেন। প্রায় দিনই তিনি মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসেন। নিজেকে সামলাতেই পারেন না। প্রায় প্রতিদিনই এই দৃশ্যে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। প্রতিবাদে শুক্রবার প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়ে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সেই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা তালা দিয়ে ঘোষণা করে দেন এখন আর স্কুল খোলা হবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন মীমাংসা হয়, ততক্ষণ স্কুল বন্ধই থাকবে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে শুক্রবার বিদ্যালয় খুলল না। গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবারই বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রদের স্কুলের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে দেওয়া হয়। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। অভিভাবক অভিভাবিকা ও গ্রামবাসীদের বক্তব্য,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির মীমাংসা না করলে এই অবস্থাতেই থাকবে স্কুল। তালা খোলাই হবে না। ফলে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্কুলের সহকারি শিক্ষকের বক্তব্য, “হেড মাস্টারমশাই মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে এসেছিলেন। গ্রামবাসীরা প্রশ্ন করলে সদুত্তরও দিতে পারেননি। পা টলতে টলতেই এসেছিলেন। এসআই, ডিআই সবাই জানেন। ওঁরা না এলে এর মীমাংসা হবে না।”
স্কুলের এআই কৌশিক মালিক বলেন, “হেড স্যর মত্ত অবস্থায় এসেছিলেন, অভিযোগ শুনেছি। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব রিপোর্ট। আপাতত স্কুল চালু করাটাই প্রধান লক্ষ্য।” অন্যদিকে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, “আমি মদ খেয়ে আসি না। আমি ড্রিঙ্ক করি না। সকালে খেয়েছিলাম। গন্ধটাই ছাড়ছে এখন।” স্কুলে এখন চরম বিক্ষোভ।