Uttarkashi Tunnel Collapse: ৯ দিন ধরে ৬০ ফুট গভীর টানেলে আটকে জয়দেব-সৌভিক, নাওয়া-খাওয়া বন্ধ পরিবারেরও

Uttarkashi Tunnel Collapse: সারাদিন বাড়িতে খোলা খবরের চ্যানেল। তার থেকে জানতে পারছেন, ভিতরে থাকলেও ভাল আছেন সৌভিক। কিন্তু সেটাও কতটা সত্যিই তা নিয়ে এবার প্রশ্ন জাগছে মনে। কবে উদ্ধার হবে তাঁদের বাড়ির ছেলেরা। জয়দেবের মা অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যে।

Uttarkashi Tunnel Collapse: ৯ দিন ধরে ৬০ ফুট গভীর টানেলে আটকে জয়দেব-সৌভিক, নাওয়া-খাওয়া বন্ধ পরিবারেরও
সৌভিক পাখিরাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 2:17 PM

হুগলি: উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গ ধসের জেরে এখনও আটকে বাংলার নিমডিঙ্গির জয়দেব প্রামাণিক এবং হরিণাখালির সৌভিক পাখিরা। এখনও বের হতে পারেননি তাঁরা। প্রায় ন’টা দিন পার হয়ে গিয়েছে। তবুও বাড়ির ছেলে আটকে রয়েছে সুড়ঙ্গের অন্ধকারে। ফলে দিন যত বাড়ছে ততই ভরসা কমছে পরিবারগুলির। দাঁতে একটাও খাবারের দানা কাটছে না তাঁরা। শুধু ডেকে চলেছেন ভগবানকে।

সারাদিন বাড়িতে খোলা খবরের চ্যানেল। তার থেকে জানতে পারছেন, ভিতরে থাকলেও ভাল আছেন সৌভিক। কিন্তু সেটাও কতটা সত্যিই তা নিয়ে এবার প্রশ্ন জাগছে মনে। কবে উদ্ধার হবে তাঁদের বাড়ির ছেলেরা। জয়দেবের মা অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যে। শয্যাশায়ী। কথাই বলতে পারছেন না।  তাঁদের বক্তব্য, “প্রতিদিনই এক কথা উদ্ধার হয়ে যাবে। আজই হয়ে যাবে। কবে হবে উদ্ধার?” গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে ছেলের ভয়েস রেকর্ড শুনেছেন। তারপর শনি রবি পেরিয়ে গিয়েছে কোনও খবর পাননি। তারপর ছেলের ফোন বন্ধ। তবে দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকদের সাথে রোজই কথা বলছেন তাঁরা। পরিবার জানিয়েছে, সৌভিক ওই আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছিল, সে ভাল আছে সেটা যেন মাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। মা যেন কোনও চিন্তা না করেন।

অপরদিকে, জয়দেব পরিবারের একমাত্র ছেলে। তাঁর মা তপতী প্রামাণিক শয্যাশায়ী। মাথা তুলতেই পারছেন না। এতটাই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন চিকিৎসক জানিয়েছেন, যে কোনও সময়েই কিছু একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে।

অপরদিকে, বাবা তাপস প্রামাণিক তিতি বিরক্ত। তিনি বার বার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন,”বাড়িতে আর আসবেন না। আপনারা এলে গোটা পাড়ার লোক এসে নানা প্রশ্ন করছেন। আমরা জর্জরিত হয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আর কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না। তাতে আমাদের যা হয় হোক। আপনারা কি ছেলের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে পারবেন? তাও না হলে তার কণ্ঠস্বর শোনাতে পারবেন কি? তাও পারবেন না।”