Hooghly Thieft: ‘একটা ষণ্ডা মার্কা লোক হাত ঢুকিয়ে…’, চুরির একসপ্তাহ পর ৭ লক্ষ টাকার গহনা ফেরাল চোর

Hooghly: স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শুঁড়িপাড়ার বাসিন্দা শোভনা লাহিড়ী (৭৯)।

Hooghly Thieft: 'একটা ষণ্ডা মার্কা লোক হাত ঢুকিয়ে...', চুরির একসপ্তাহ পর ৭ লক্ষ টাকার গহনা ফেরাল চোর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2023 | 5:45 AM

হুগলি: এক সপ্তাহ আগে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার গহনা চুরি হয়েছিল বৃদ্ধার। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ (Police)। তবে ধরা পড়েনি কেউই। এরই মধ্যে অর্থাৎ প্রায় এক সপ্তাহ পর সেই চুরির সামগ্রী ফিরিয়ে দিয়ে গেল চোর। রীতিমতো অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার শুঁটি পাড়ায়।

কী ঘটেছে?

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শুঁড়িপাড়ার বাসিন্দা শোভনা লাহিড়ী (৭৯)। তাঁর বাড়িতে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টা ১৫ মি থেকে ৭ টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে চুরি হয়। আলমারি থেকে সোনার চেন, বালা, চূড়, আংটি সহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকার সোনার গহনা চুরি করে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বৃদ্ধা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

পরিবার সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধা বাড়ির নীচতলার ঘরে থাকেন। দোতলার ঘরে থাকেন ছেলে দেবজিৎ তাঁর স্ত্রী ও নাতি। দেবজিৎ-এর প্রোডাকশন হাউসের ব্যবসা। ঘটনার দিন বৃদ্ধা পাশের ঘরে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। তখনই তাঁর আলমারি থেকে গহনা চুরি হয়ে যায়। পুলিশ তদন্তে গিয়ে দেখেন, যে আলমারি থেকে গহনা চুরি হয়েছে তার লক ভাঙা হয়নি। সকাল বেলায় বাড়িতে চোর ঢুকে পড়ল কেউ টের পেল না প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপর ছেলের ব্যবসার কী অবস্থা তা জানতে পুলিশ বিজনেস স্ট্যাটাস দেখে। এমনকী সকলের ফোন নম্বরও থানায় জমা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি চুঁচুড়া শহরের সোনার দোকানগুলিতে খোঁজ খবর শুরু করা হয়।

এক সপ্তাহ পর আজ সকাল সারে নটা নাগাদ চুরি যাওয়া সব গহনা একটি পুঁটুলি বেঁধে বৃদ্ধার ঘরে ফেলে যায় চোর।সকালে বাড়ির পরিচারিকা সুমনা দাস ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে খটের নীচে পুঁটুলি দেখতে পান।

এরপর কাউন্সিলর সঞ্জীব মিত্রকে খবর দেন বৃদ্ধা। কারণ গহনা চুরির সময় কাউন্সিলর এসেছিলেন। এবং পুলিশে অভিযোগ করতে সাহায্য করেছিলেন। কাউন্সিলর আসার পর পুঁটুলি খোলা হয়। দেখা যায় সব গহনাই রয়েছে তাতে। এই সঞ্জীব ঘোষ বলেন, “চুরির পর বৃদ্ধার ছেলেকে বলেছিলাম দেখবি চুরির সামগ্রী ফিরে পাবি।কারণ এর আগে এধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যেকানে দেখা গেছে চুরি হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি শুরু করতেই চুরির জিনিস উদ্ধার হয়েছে। বৃদ্ধার বাড়িতে চুরির ক্ষেত্রেও তাই হল। আসলে পুলিশ যেভাবে তৎপর হয়েছে তাতে চোর বুঝতে পেরেছে হজম করা যাবে না।”

যদিও বৃদ্ধা চুরির সামগ্রী ফিরে পাওয়া নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে প্রতিবেশী অর্চনা বসু বলেন, “গত সোমবার শুনলাম দেবজিৎ এর বাড়িতে চুরি হয়েছে। গিয়ে দেখলাম আলমারি খোলা জামা কাপড় ছড়ানো।ওরা বলল ১২ ভরি মত সোনা নাকি চুরি হয়েছে। তারপরে পুলিশ এল। আজ সকালে শুনছি পুটলি বেঁধে ওই গহনা ফিরিয়ে দিয়ে গেছে চোর। অবাক লাগছে। চুরি হল আবার দিয়েও গেল। দুদিন আগে শুঁড়িপাড়ায় রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে ঠাকুরের মুকুট চুরি হয়ে গেল সেটা অবশ্য ফেরত দিয়ে যায়নি।ঠ

পরিচারিকার সন্ধা মাল বলেন, “একটা ষণ্ডা মার্কা লোক ভিতরে হাত গলিয়ে পুঁটুলিটা ফেলে দিয়ে গিয়েছে।” ওই কয়েক লক্ষ টাকার গহনা চুরি করেও সামগ্রী ফেরত দিয়ে গেল কেন চোর, আলমারি না ভেঙে কীভাবে চুরি, চোরের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি কিছু প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত চালাচ্ছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।