Calcutta High Court: ‘শুধু কি ভোটের সময়েই যান?’, পঞ্চায়েত প্রধানের উপর বেজায় বিরক্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Jirat: হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এদিন স্পেশাল অফিসার সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতে স্কুলের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। কিন্তু কী রয়েছে সেই রিপোর্টে? যা দেখে এতটা বিরক্ত হয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা : গঙ্গার ভাঙনের জেরে বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে ছিল হুগলির চড়খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। সেই খবর প্রকাশ্যে দ্রুত স্কুল ভবনটি অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যতক্ষণ না নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে, ততদিন অস্থায়ীভাবে অন্য কোথাও স্কুল চালাতে বলেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি চড়খয়রামারির ওই স্কুলের অবস্থার একটি রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার আদালতে ওই প্রাথমিক স্কুলের রিপোর্ট জমা পড়ে। আর সেই রিপোর্ট হাতে পেতেই ফের বিরক্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এদিন স্পেশাল অফিসার সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতে স্কুলের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। কিন্তু কী রয়েছে সেই রিপোর্টে? যা দেখে এতটা বিরক্ত হয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
রিপোর্টে স্থানীয় এক শিশুর ছবি দেখা গিয়েছে। আর সেই ছবিতেই বেজায় বিরক্ত হয়ে যান বিচারপতি। ছবিটিতে দেখা গিয়েছে, ওই শিশুটি চামড়ার রোগে ভুগছে। প্রশ্ন করার পর জানা যায়, ওই শিশু দীর্ঘদিন ধরেই এই চামড়ার রোগে ভুগছে। ছবিটি দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে জানতে চান, শিশুটির মা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় টাকা পান কি না। কিন্তু বিচারপতির সেই প্রশ্নের কোনও ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেননি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। আর এতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুটা বিরক্তির সুরেই মন্তব্য করেন, এই সামান্য খোঁজ রাখেন না? তাহলে এত ঢক্কানিনাদ কেন? শুধু কি ভোটের সময়েই যান?” পঞ্চায়েত প্রধানের থেকে উত্তর না পেয়ে বিচারপতি এতটাই বিরক্ত হয়ে যান, তিনি বলেন, “এর কাছে কিছু আশা করি না।”
এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জেলার প্রাইমারি কাউন্সিল চেয়ারম্যান শিল্পা নন্দীকে নির্দেশ দেন, ওই শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যেন যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্টও আদালতের কাছে জমা দিতে বলা হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আদালতে জমা করা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, চড়খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি মাঠ, শৌচাগার ২০২১ সালে নদীর বুকে তলিয়ে গিয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই রিপোর্ট দেখে নির্দেশ দিয়েছেন, স্কুলের ভবন দ্রুত খালি করার জন্য। আগামিকালের (বুধবার) মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার ফের হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে।