Khanakul: জল পাড়িয়ে এলাকা ঘুরলেন মন্ত্রী বেচারাম, BJP বলল ‘সব ফটোশুটের জন্য’
Khanakul: এ দিন স্থানীয় পঞ্চায়েতস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা আরামবাগ পুরসভার কাউন্সিলর স্বপন নন্দী, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া, সহ সভাধিপতি কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা সহ একাধিক নেতা-নেত্রীরা।
খানাকুল: খানাকুল এমনই বন্যা কবলিত এলাকা। এর মধ্যে নিম্নচাপের জেরে এক টানা বৃষ্টি চলছে। তাই আগে ভাগেই জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হুগলি জেলাশাসক। ঘুরে দেখলেন খানাকুলের ঠাকুরানিচক এলাকা। যদিও গোটা বিষয়টিই লোক দেখানো বলে কটাক্ষ বিজেপির। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক বলেন, “জনগণের টাকা লুটের জন্য ফটোশুট। ত্রাণ আসবে, ত্রিপল আসবে, চাল আসবে লুট হবে। লুটের জন্য নেতারা এসেছেন।”
এ দিন স্থানীয় পঞ্চায়েতস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা আরামবাগ পুরসভার কাউন্সিলর স্বপন নন্দী, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া, সহ সভাধিপতি কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা সহ একাধিক নেতা-নেত্রীরা। বন্যায় প্রশাসন সব দিক দিয়ে প্রস্তুত আছে বলেও আশ্বাস দিয়ে যান মন্ত্রী বেচারাম মান্না। যাঁরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের পাশে সরকার অবশ্যই থাকবে বলেও জোর দিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নদীর জল উপচে গিয়েছে। এখানকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ডুবেছে।তার মধ্যে তিনি ঘোষ পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখলেন। আজ তাঁকে জল পাড়িয়ে পায়ে হেঁটে পরিস্থিতি খতিয়েও দেখতেও দেখা যায়।
খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন,”মন্ত্রী এসে মুখ দেখিয়ে চলে গেলেন। কেন তিনি ঠাকুরাণিচক, ধান্যঘোড়ি,মারোখানা, জগৎপুর এলাকায় গেলেন না। যে পঞ্চায়েত গুলি বেশি প্রভাবিত।বেশি জলমগ্ন,বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কেন গেলেন না। ঘোষপুরে সেই ভাবে কিছুই হয়নি। আসলে এই চারটি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। তাহলে কি বন্যা শুধু বেছে বেছে তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত গুলিতে হয়? ত্রাণ কোথায়? চার পাঁচটা করে ত্রিপল দিয়ে সেরে দিচ্ছেন নাকি।” রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খানাকুলের বিধায়ক। বিজেপি বিধায়ক এও বলেন, “দীর্ঘ ১৪ বছর হতে চলল রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একটা নদীর উপরও ব্রিজ বানাতে পারল না ? আজকে চলছে জনগণের টাকা লুটের জন্য ফটোশুট। ত্রাণ আসবে, ত্রিপল আসবে, চাল আসবে লুট হবে। লুটের জন্য নেতারা এসেছেন।”