১৮৩ কোটি টাকার বাঁধ তৈরি হচ্ছে, তবু ভয় যেন কাটছেই না তারকেশ্বর, ধনিয়াখালির মানুষের

এই বছর বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ (River Dam) নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কেরলে বর্ষা ঢোকার খবরে বুক কাঁপতে শুরু করেছে গ্রামবাসীদের।

১৮৩ কোটি টাকার বাঁধ তৈরি হচ্ছে, তবু ভয় যেন কাটছেই না তারকেশ্বর, ধনিয়াখালির মানুষের
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 03, 2021 | 8:53 PM

হুগলি: বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লেই দামোদরের (Damodor River) দু’ কূল ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে নদের তীরের গ্রামগুলিতে। চোখের নিমেষে সব ভেসে যায়। প্রতি বছর আশ্বাস মিললেও স্থায়ী বাঁধ আর মেলে না। এই বছরও বর্ষা আসার আগে তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হুগলির নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

প্রতি বছর বর্ষা এলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে দামোদর। ভাসিয়ে নিয়ে যায় গ্রামের জমি, বাড়ি। অভিযোগ, স্থায়ী বাঁধ না থাকার কারণে ফি বছর হুগলির জাঙ্গিপাড়া, তারকেশ্বর, ধনিয়াখালি ও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় হাজার হাজার মানুষের সর্বস্ব গ্রাস করে নেয় প্লাবন। বার বার প্রশাসনের কাছে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের আর্জি জানালেও কাজের কাজ হয় না বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এই বছর বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কেরলে বর্ষা ঢোকার খবরে বুক কাঁপতে শুরু করেছে গ্রামবাসীদের। বাঁধ নির্মাণ শেষ হওয়ার আগে বৃষ্টি শুরু হলে ফের একই অবস্থা বলে আশঙ্কা তাদের।

আরও পড়ুন: পতঙ্গবাহিত রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে এবার প্রশাসনের হাতিয়ার ‘প্রতিরোধ’

বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক ও রাজ্য সরকারের সহায়তায় ১৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে এই এলাকায়। প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি সেচ আধিকারিকদের।

সেচ দফতরের আধিকারিক সোমনাথ ঘোষ জানান, “প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সাল থেকে। জুন মাসে এই কাজ শুরু হয়েছিল। এটা ২০২২ সালের জুন মাস দু’ বছরের মধ্যেই প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: মাটিতে পড়ে ছেলের দেহ, মা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে! করোনা শেখাচ্ছে সহায়হীন পরিবারগুলো কতটা একা

প্রতি বছর বর্ষা শেষে প্রায় শূন্য থেকে শুরু করতে হয় শ’য়ে শ’য়ে মানুষকে। বাঁধহীন এলাকায় কোনও রকমে বালির বস্তা দিয়ে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে সে সবই ভেসে যাবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।