Photographer Kidnapped : বিহারে বিয়েবাড়িতে ছবি তুলতে গিয়ে আর ফেরেনি, শিলিগুড়ির যুবককে পাওয়া গেল হুগলিতে

Photographer Kidnapped : রিষড়া পুলিশ সূত্রের খবর, রিষড়া পঞ্চানন তলা এলাকায় অপহৃত যুবককে নিয়ে আসে একটি ফটোগ্রাফারের দল। সেখানে নিয়ে এসে একটি ক্লাবে আটকে রাখা হয় জয় তালকুদারকে।

Photographer Kidnapped : বিহারে বিয়েবাড়িতে ছবি তুলতে গিয়ে আর ফেরেনি, শিলিগুড়ির যুবককে পাওয়া গেল হুগলিতে
জয় তালুকদারের স্ত্রী সোমা তালুকদার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 12:00 AM

রিষড়া : বিয়ে বাড়িতে ছবি তুলতে গিয়ে আর ফেরেনি যুবক। অবশেষে তাঁর খোঁজ মিলল হুগলির রিষড়ায়। ধরা পড়ল রিষড়ার তিন যুবক। স্বামীর খোঁজ না পেয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত জয় তালকুদারের স্ত্রী সোমা। সোমবার শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ও অপহৃত যুবকের স্ত্রী হুগলির (Hooghly) রিষড়ায় আসেন। জয় তালুকদারের স্ত্রী জানান,তার স্বামী বিয়েবাড়িতে ফটোগ্রাফির কাজ করেন। বিহারে একটি বিয়ের কাজে গিয়েছিলেন দিক কয়েক আগে।কাজ শেষ হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় স্বামীর মোবাইলে ফোন করে জানতে পারেন তাঁর স্বামীকে অপহরন করা হয়েছে। যাঁরা অপহরন করেছে তারা জানায় রিষড়ায় আছে জয়, টাকা দিলে তবেই ছাড়া হবে। এরপরই শিলিগুড়ি থানায় অপহরনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

রিষড়ার তিন যুবক শুভঙ্কর দাস ইন্দ্রজিৎ রায় ও সমীর মণ্ডল ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিহারে একটি বিয়ে বাড়ির কাজ পান শিলিগুড়ির বাসিন্দা জয় তালুকদারের মাধ্যমে। সূত্রের খবর, সাত দিনের কাজের জন্য মোট ১ লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার চুক্তি হয়। চুক্তি মাফিক কাজ চললেও কাজের শেষে সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে জয়। টাকা না পেয়ে জয় তালুকদারকে বিহার থেকে গাড়ি করে রিষড়ায় নিয়ে চলে আসে তাঁরা।

রিষড়া পুলিশ সূত্রের খবর, রিষড়া পঞ্চানন তলা এলাকায় অপহৃত যুবককে নিয়ে আসে ওই ফটোগ্রাফারের দল। একটি ক্লাবে আটকে রাখে। সেখানে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে চারজনকেই রিষড়া থানায় তুলে আনে। এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন পুরো ঘটনা। অপহরণকারী ওই ফটোগ্রাফার দলের সদস্যদের পরিবারের দাবি, এর আগেও  জয় তালুকদার বিভিন্ন লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা দেয়নি। ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার গ্রুপের এক সদস্য সম্পা ঘোষ বলেন, যখন বিহার থেকে তারা রওনা দেয় তখন ওই ব্যক্তি নিজেই ফেসবুক লাইভে বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় তাঁদের সঙ্গে যাচ্ছেন। টাকা মিটিয়ে দিলেই তিনি আবার ফিরে আসবেন। হুগলিতে এনে তার ওপর কোনরকম অত্যাচার করা হয়নি বরং তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে ভালোভাবেই রাখা হয়েছিল। বিয়ে বাড়িতে পাঁচ দিনের কাজ বলে নিয়ে গিয়েছিল সাত জনকে। কিন্তু, নয় দিন কাজ করিয়েছে। টাকা চাইলে বলে পার্টি পেমেন্ট করেনি। কিন্তু পার্টির কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় টাকা পেয়ে গিয়েছে জয়। কিছু দিন আগে নেপালে একজনকে কাজে নিয়ে গিয়ে টাকাও দেয়নি। ওখানে ফেলে চলে আসে বলে অভিযোগ। পঁচিশ তারিখ ফেরার কথা থাকলেও টাকা না পাওয়ায় ফিরতে পারেনি ওই ফটোগ্রাফাররা।

জয় তালুকদারের স্ত্রী সোমা তালুকদার জানান, তাঁর কাছে হঠাৎই ফোন আসে। সেখানে তাঁর স্বামীর ফোন থেকে অন্য এক ব্যক্তি বলতে শোনা যায় যে টাকা না দিলে তার স্বামীকে ছাড়া হবে না। কিসের টাকা কি সংক্রান্ত টাকা সে বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। তখনই তিনি দারস্ত হন শিলিগুড়ি থানার। তারপরে শিলিগুড়ি থানা থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় হুগলিতে। আজ সন্ধায় ধৃত শুভঙ্কর দাস, ইন্দ্রজিৎ রায় ও সমীর মণ্ডলকে শিলিগুড়ি নিয়ে যায় পুলিশ।