Madhyamik Examination: বাড়িতে ফেলে এসেছিল অ্যাডমিট কার্ড, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য দেবদূতের মতো হাজির ‘পুলিশ কাকু’

Madhyamik Examination: নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় তন্নিষ্ঠা। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে দেখে, ব্যাগে অ্যাডমিট কার্ড নেই। তাড়াহুড়োর মধ্যে ভুল করে বাড়িতে ফেলে এসেছিল অ্যাডমিট কার্ড।

Madhyamik Examination: বাড়িতে ফেলে এসেছিল অ্যাডমিট কার্ড, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য দেবদূতের মতো হাজির 'পুলিশ কাকু'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 6:42 PM

চুঁচুড়া: ব্যান্ডেলের লিচুবাগান (Bandel) এলাকার বাসিন্দা তন্নিষ্ঠা কুণ্ডু। হুগলি (Hooghly) গার্লস স্কুলের ছাত্রী। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিচ্ছে। সিট পড়েছে চুঁচুড়ার (Chinsurah) কাপাসডাঙার সতীন সেন উচ্চ বিদ্যালয়ে। আজ জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় তন্নিষ্ঠা। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে দেখে, ব্যাগে অ্যাডমিট কার্ড নেই। তাড়াহুড়োর মধ্যে ভুল করে বাড়িতে ফেলে এসেছিল অ্যাডমিট কার্ড। ঘাবড়ে গিয়েছিল তন্নিষ্ঠা। ভয় কান্না জুড়ে দেয় সে। তাহলে কি পরীক্ষায় বসতে পারবে না? পরীক্ষায় না বসলে কী হবে? একটা গোটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে? কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না তন্নিষ্ঠা। সেই সময় সাক্ষাৎ দেবদূতের মতো এগিয়ে আসেন চুঁচুড়া থানার এএসআই হিমাদ্রী চক্রবর্তী।

হিমাদ্রী চক্রবর্তী ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনেই ডিউটিতে ছিলেন আজ। এক মুহূর্ত দেরি না করে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বাইকে চাপিয়ে তার বাড়ির দিকে রওনা দেন হিমাদ্রীবাবু। লিচুবাগানের বাড়িতে পৌঁছে ফেলে আসা অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করে তন্নিষ্ঠা। তারপর আবার ওই ছাত্রীকে বাইকে চাপিয়ে সঠিক সময়ে কাপাসডাঙা সতীন সেন হাই স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন এএসআই হিমাদ্রী চক্রবর্তী। পুলিশকর্মীর তৎপরতায় ওই ছাত্রী সময়ের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় এবং জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা নির্বিঘ্নে দেওয়ার সুযোগ পেল।

এই বিষয়ে চূঁচুড়া থানার এএসআই হিমাদ্রী চক্রবর্তী বলেন, ‘পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছিল।পরীক্ষা দিতে সমস্যা হত। জানতে পেরে বাইকে চাপিয়ে ওর বাড়ি গিয়ে অ্যাডমিট এনে দিলাম।’ জানা গিয়েছে, যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন কোনও অটো বা টোটো পাওয়া যাচ্ছিল না স্কুলের সামনে। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মা জানাচ্ছেন, ‘শুধুমাত্র ওই পুলিশ অফিসারের জন্য আজ আমার মেয়ে সময় মতো পরীক্ষা দিতে পেরেছে।’ পুলিশকর্মীর এই ভূমিকার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন  পরীক্ষার্থীর পরিবারের লোকেরা।