Polba Snake Bite: গর্তে হাত ঢোকাতেই নীল হয়ে গেল নাতির শরীর, ঠাকুমা দৌড়ালেন ওঝার কাছে… পরিণতি যা হওয়ার তাই হল…
Polba Snake Bite: হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটিকে দেখে জানিয়ে দেন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। পরিবারের লোকজন এরপর শিশুটিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
পোলবা: সাপে কামড়ানোর শিশুকে ঝাড়ফুঁক করতে গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি। মৃত শিশুর গ্রামে কুসংস্কার দূর করতে পৌঁছল ব্লক প্রশাসন। প্রশাসনের হাজারও সতর্কতার পরও কুসংস্কারের বলি হল বছর চারের এক শিশুর। পোলবার সুদর্শন গ্রামের সুরজিৎ বাউল দাস মঙ্গলবার বাড়ির কাছে একটি মাঠে খেলা করছিল। হঠাৎই একটি গর্তে হাত ঢুকিয়ে ফেলে। সেই গর্তের একটি সাপ ছিল। হাতে ছোবল খায় শিশুটি। কিন্তু বাড়ির সদস্যরা শিশুটিকে মনসা তলায় নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ সময় নষ্ট হয়। সেখান থেকে আবার তাকে স্থানীয় এক ওঝার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়ফুঁকের জন্য। কিন্তু সেসময় ওঝা বাড়িতে না থাকায় গ্রামের অন্যদের সঙ্গে কথা বলে পোলবা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটিকে দেখে জানিয়ে দেন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। পরিবারের লোকজন এরপর শিশুটিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রামে যে এখনও সাপে কাটা নিয়ে মানুষের মনে কুসংস্কার লুকিয়ে রয়েছে, তার প্রমাণ মেলে এই ঘটনায়। কুসংস্কার দূর করতে গ্রামে পৌঁছয় পোলবা ব্লক হাসপাতালের ও পোলবা ব্লক প্রশাসনের একটি দল। সেই দলে ছিলেন সর্প বিশারদ চন্দন ক্লেমেন্ট সিং। গ্রামে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রশাসনের কর্তারা। পরামর্শ দেন ,সাপে কাটা রোগীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কোনও ওঝার বাড়ি নিয়ে গেলে তার চিকিৎসা অনেকটা দেরি হয়ে যায়। যত দ্রুত সম্ভব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
পেলবা ব্লক স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কুনাল মজুমদার জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। গ্রামের মানুষদের বোঝানো হয়েছে। ভ্যাকসিন মজুত রাখা আছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় সচেতনতার প্রচার করা হয়।