Hooghly Dacoits Arrested: সোনার দোকানে সবেমাত্র স্করপিওটা দাঁড় করিয়েছিল, অপারেশনের আগেই বমাল গ্রেফতার ৪ দুষ্কৃতী
Hooghly Dacoits Arrested: কিছুদিন আগেই বরানগর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ একটি দলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বরাহনগর নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের সামনে তারা ঘোরাফেরা করছিল।
হুগলি: ডাকাতির আগেই হরিপালের নন্দকুঠি এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল হরিপাল থানার পুলিশ। ধৃতদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হরিপালের নন্দকুটি এলাকায় একটি সোনার দোকানের সামনে স্করপিও গাড়িতে আট-দশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল আসে। গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে তারা সেখানেই ঘোরাফেরা করছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারাই তা দেখতে পেয়ে গোপনে খবর দেন থানায়। পুলিশ অতর্কিতে সেখানে হানা দেয়। চার জনকে ধরতে পারলেও বাকিরা স্করপিওতে চেপে চম্পট দিয়েছে। মূল পান্ডা অশোক তেওয়ারি-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অশোক তিওয়ারি তারকেশ্বরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত।
টিঙ্কু পোদ্দার,রাজবির কোঙার,গণেশ কুমার রাম নামে বাকি তিন জনের বাড়ি বিহারের বেগুসরাই জেলায়। তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি, লোহার রড, দোকানের সাটার কাটার সহ একাধিক যন্ত্রপাতি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সোনার দোকানে ডাকাতির উদ্দেশেই তারা জড়ো হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই বরানগর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ একটি দলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বরাহনগর নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের সামনে তারা ঘোরাফেরা করছিল। সূত্রের আরও খবর, ধৃত দুষ্কৃতী কলকাতার বটতলা থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই দুস্কৃতী বরাহনগরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কেন এসেছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার গৌরাঙ্গ নগর এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ। সেখান থেকে ধরা পড়ে এক দুষ্কৃতী দল। লোহাপুলের সামনে থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শহরে এক আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে, কাদের মাধ্যমে আমদানি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে খড়গপুরের বিএনআর গ্রাউন্ড থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক্ষেত্রেও একটি দোকানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল তারা। গোপনে খবর যায় পুলিশের কাছে। পাঁচ জনকে ধরতে পারলেও, বাকি পাঁচ জন পালিয়ে যায়।