TMCP: প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ‘অপমান’, অধ্যাপককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখল টিএমসিপি
Chandannagar: শুক্রবার কলেজে এসেছিলেন সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ নৃপঙ্কর হাজরা। ছাত্র সংসদের অভিযোগ সেই সময় অধ্যাপক উদয় মিত্র তাঁকে অপমান করেছিলেন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর প্রায় আড়াইটে থেকে কলেজে আটকে রাখা হয় ওই অধ্যাপককে।
চন্দননগর: রাজ্যে ফের অধ্যাপক ঘেরাও। এবার হুগলির চন্দননগরে (Chandannagar) খলিসানী কলেজ। দীর্ঘক্ষণ কলেজের অধ্যাপক উদয় মিত্রকে কলেজে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) পরিচালিত ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ রয়েছে ছাত্র সংসদেরও। শুক্রবার কলেজে এসেছিলেন সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ নৃপঙ্কর হাজরা। ছাত্র সংসদের অভিযোগ সেই সময় অধ্যাপক উদয় মিত্র তাঁকে অপমান করেছিলেন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর প্রায় আড়াইটে থেকে কলেজে আটকে রাখা হয় ওই অধ্যাপককে। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে কলেজে আটকে রাখার পর শেষ পর্যন্ত রাত আটটা নাগাদ ঘেরাও তুলে নেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ও সমর্থকরা।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খলিসানী কলেজ ইউনিটের এক সদস্য তপু সরকার জানান, “আজ পঞ্চম সেমেস্টারের ফর্ম ফিল আপ চলছিল। সেখানেই সবাই ছিলাম। সেই সময় আমরা খবর পাই প্রাক্তন অধ্যক্ষ কলেজে এসেছিলেন। কলেজের স্বার্থে বর্তমান টিআইসি তাঁকে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি বেরোনোর সময় কলেজের গেটের সামনে উদয় কৃষ্ণ মিত্র তাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে অপমান করেন। এটা আমরা মানছি না। আমাদের খলিসানি কলেজে এমন ঘটনা আগে হয়নি। আমাদের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ১৬ বছর কর্মরত ছিলেন এখানে।” তাঁদের দাবি, প্রাক্তন অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ওই অধ্যাপককে।
যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই উদয় বসু বলছেন, “আমাদের এখানে পার্মানেন্ট ক্যাশিয়ার নেই, স্টাফ নেই, হেড ক্লার্ক নেই, অ্যাকাউন্ট্যান্ট নেই। এক নন টিচিং স্টাফ তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি বললাম, অফিসের সময়ে ওই নন টিচিং স্টাফ বাইরের কাজ করবেন কেন? অফিসের সময়ে অফিসের কাজ করবেন। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এসেছেন, নিজেই ফিরে যাবেন তিনি। তাঁকে লোক দিয়ে পাঠাতে হবে কেন?”
বিষয়টি নিয়ে বর্তমান টিআইসি বলছেন, “আমি প্রাক্তন অধ্যক্ষকে একটি প্রয়োজনে ডেকেছিলাম। ওনার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা আছে কি না, তা আমি জানি না। উনি সেই খবরটি পান, এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি হন্তদন্ত হয়ে ক্লাস ছেড়ে দিয়ে এখানে এসে হাত তুলে দাঁড় করান এবং অকথ্য ভাষা বলেন। এগুলি আমি খবর পেয়েছি। নন টিচিং স্টাফ ও ছাত্র-ছাত্রীরা ছিলেন। তাঁরা ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। উনি যদি বহিরাগত হন, তাহলে টিআইসিকে জানাতে পারতেন। টিআইসির অনুমতি নিয়েই তিনি এসেছিলেন। উনি এখানে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ ছিলেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ও স্থানীয়দের কাছে খুবই প্রিয়। সেই কারণেই পড়ুয়ারা তাঁকে ঘেরাও করেছিলেন।”