Hooghly: বিধায়ক নাকি ‘বাচ্চা’ হয়ে গিয়েছেন, রচনা বললেন ‘উনি তো বেবি’!
Hooghly: বলাগড়ে গিয়েছিলেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে বিধায়কের দেখা না পেয়ে অসন্তুষ্ট হন রচনা। এরপর বিধায়কের কথা শুনে তিনি দাবি করেন বিধায়ক নাকি বাচ্চা হয়ে গিয়েছেন।
হুগলি: বিধায়ককে সেভাবে এলাকায় দেখা যায় না। এমনটাই দাবি সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রকাশ্য়েই বলে দিলেন, “আমি তো ওঁকে দেখতে পাইনি। এর আগে আমি নিজে ওঁকে বলেছি, আমাদের অনুষ্ঠান হলে আপনি আসবেন, কিন্তু উনি আসেন না। কী বলব বলুন? উনি এলে আমরা খুশি হতাম।” বৃহস্পতিবার বলাগড়ে গিয়েও যখন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর দেখা মেলেনি, তখন কিছুটা অসন্তুষ্টই হয়েছিলেন রচনা। তারপর মিটল সব। এলেন বিধায়কও। রচনা বললেন ‘উনি বেবি হয়ে গিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার ‘গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল’ কমিশনের সদস্যদের নিয়ে বলাগড়ে গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে যান রচনা। কিন্তু তাঁর কর্মসূচিতে এলাকার অন্যান্য প্রতিনিধিদের দেখা গেলেও বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে দেখা যায়নি। কেন এলাকার বিধায়ককে আজ দেখা গেল না, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রচনা বলেন, “উনি তো কোথাও আসেন না। আমরা সবাইকে জানিয়েই এসেছিলাম। কী বলব বলুন? উনি এলে আমরা খুশি হতাম।” ফোনে সেভাবে যোগাযোগ নেই, তাই বিধায়ক কেন আসেননি সেটাও জানতেন না রচনা।
এরপর বলাগড় থেকে ফিরে সুগন্ধায় তাঁর অফিসে বিধায়ককে ডেকে পাঠান রচনা। ফোন পেয়ে পৌঁছে যান বিধায়ক। সাংসদের অফিস থেকে বেরনোর মনোরঞ্জন বলেন, “উনি সাংসদ হিসেবে আমার কাজের হিসেব চাইতেই পারেন। আমি যা যা কাজ করেছি তার হিসেব দিয়ে দেব।” তিনি দাবি করেন, তাঁকে ডাকা হয় না, তাই তিনি যাননি।
পরে রচনা বলেন, আসলে শিশুদের মতোই। মনোরঞ্জন চান তাঁকে একটু ফোন করে ডাকা হোক। রচনা বলেন, “একেকজন মানুষ একেকরকম হয়। বাচ্চারা যেন হয় আর কি। উনিও বেবি হয়ে গিয়েছেন। বেবিসুলভ আচরণ করছেন। ফোন করে বললে যদি উনি আসেন তাহলে আসুন।” রচনার আশা আগামিদিনে সঙ্গে থাকবেন মনোরঞ্জন।