প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানকে গুলির অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, অপসারিত পুর প্রশাসক, বদলে দায়িত্ব পেলেন আক্রান্তই

বদলে হুগলির (Hooghly) বাঁশবেড়িয়ায় (Bansberia) আদিত্য নিয়োগীকে পুর প্রশাসক করার নির্দেশ দিল দফতর।

প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানকে গুলির অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, অপসারিত পুর প্রশাসক, বদলে দায়িত্ব পেলেন আক্রান্তই
ডান দিকে- আদিত্য নিয়োগী, বাঁ দিকে- অভিযুক্ত সত্যরঞ্জন
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 10:24 AM

হুগলি: তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই কি গুলি? হাসপাতালের বেডে শুয়ে পুর প্রশাসকের স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন গুলিবিদ্ধ বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। আর তারপরই কড়া পদক্ষেপ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের। অপসারিত করা হল বাঁশবেড়িয়ার পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলকে। বদলে হুগলির (Hooghly) বাঁশবেড়িয়ায় (Bansberia) আদিত্য নিয়োগীকে পুর প্রশাসক করার নির্দেশ দিল দফতর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলায় বাজারে গিয়েছিলেন পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। বাড়িতে কালী পুজো থাকায় ফল কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাজারেই তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা হয়। দূর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আদিত্য নিয়োগী। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শিরদাঁড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়েই আদিত্য নিয়োগী আঙুল তুলেছেন বাঁশবেড়িয়া পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে।

কাতরাতে কাতরাতে আদিত্য নিয়োগী বলেন, “গত ছ’বছর ধরে আমাকে নানা ভাবে কষ্ট দিচ্ছে সত্যরঞ্জন শীল। আমাকে মিথ্যা মামলায় একাধিকবার ফাঁসিয়েছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এবার মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।” সরব হয় দলের একাংশ। সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আদিত্য নিয়োগী তাঁর প্রতিবাদ করতেন। সেই কারণেই এই হামলা বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের দৈনিক মৃত্যুর হার, জেলাতেও কোভিডের ভয়াবহ ছবি, কলকাতার পরই কোন জেলা এগিয়ে?

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিত ঘোষ জানান, আদিত্য নিয়োগির নেতৃত্বেই তাঁরা পুরসভার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই কারণেই এই হামলা। একই কথা শোনা যায় সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের গলায়। তাঁরও বক্তব্য, তৃণমূল দলকে ভাঙিয়ে জমি-বাড়ি দালালি থেকে তোলাবাজি করেছেন সত্যরঞ্জন। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করে দফতর।