Uttarpara Housing: ৬০০ ফ্ল্যাটের মধ্যে বেছে-বেছে ফাঁকা ঘরগুলিতে লুঠপাট দুষ্কৃতীদের! ভয়ে কাঁপছে উত্তরপাড়ার আবাসন
Hooghly: এখন প্রশ্ন অত বাড়ির মধ্যে দুষ্কৃতীরা জানল কীভাবে ওই ফ্ল্যাটগুলোই ফাঁকা? তাহলে কি ফ্ল্যাটের কেউ?
হুগলি: একই আবাসনের পরপর সাতটি ‘ফাঁকা’ ফ্ল্যাটে দুঃসাহসিক চুরি। কখনও গ্রিল কেটে আবার কখনও মূল দরজার তালা ভেঙে পরপর চুরির ঘটনাটি ঘটে। যার ফলস্বরূপ মঙ্গলবার রাত থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন অভিজাত আবাসন ভার্মা কমপ্লেক্সে। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। এদিকে, ঘটনার সময় যে যে ফ্ল্যাটে আবাসিকরা ছিলেন না সেখনেই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। কিভাবে তারা শতাধিক ফ্ল্যাটের মধ্যে ফাঁকাগুলির হদিশ পেল সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কমপ্লেক্সের সাতটি ফ্ল্যাটের আলমারি, লকার সহ ঘরের আরও একাধিক জিনিস মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার চুরি হয়েছে। সাতটি ফ্ল্যাটই গতরাতে ফাঁকা, তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। আবাসিকরা কেউ চিকিৎসা করাতে, কেউ দেশের বাড়ি গিয়েছিলেন। এছাড়াও দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটলেও রাতে আশেপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা টের পাননি। সকালে কিছু প্রাতভ্রমণকারীর প্রথম নজরে আসে বিষয়টি। তারাই ফ্ল্যাট মালিকদের এবং পুলিশকে খবর দেন।
উত্তরপাড়া থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের দাবি, গতকাল সন্ধ্যায় আবাসনে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই সময় সকলেই প্রায় অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। এরই সুযোগ নিয়ে ফাঁকা ফ্ল্যাটগুলিতে ঢুকে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই আবাসন চত্ত্বরে বহিরাগতদের আনাগোনা চোখে পড়েছিল। প্রায় ছশো ফ্ল্যাটের কোনগুলি ফাঁকা তা দুষ্কৃতীরা কিভাবে জানল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এক্ষেত্রে কি আবাসনের কেউ জড়িত?
এই প্রশ্নের উত্তরে এক বাসিন্দা অনিন্দিতা বসু বলেন, “চারজন নিরাপত্তারক্ষী আছে তারা কি করছিল সেটা দেখতে হবে। আর ভিতরে ভিতরে নিশ্চয়ই কোন কোন ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে তার খবর ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। আমরা চাই তদন্ত করে দেখা হোক গোটা বিষয়টি।” সুদেষ্ণা রায় নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “আবাসনে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে আগেও বলেছি। যদিও আগে এরকম ঘটনা কখনও ঘটেনি বলে তার প্রয়োজন পড়েনি।” আরও এক বাসিন্দা জানান, “ভোর সারে তিনটে নাগাদ তিনি জল খেতে উঠেছিলেন। তখন পাশের ফ্ল্যাটের সামনে দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাদের হাতে লোহার রড ছিল।” প্রসঙ্গত, একাধিক চুরির পরে দীর্ঘক্ষণ কাটলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও দুষ্কৃতীদর খোঁজে তল্লশি শুরু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।