School Student: ফি না পাওয়ায় ছুটির পরও আটকে রাখা হল পড়ুয়াকে, স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিন্দমোটরে
School Student: প্রিন্সিপ্যালের দাবি, পরিবারের কোনও অসুবিধা থাকলে সরাসরি স্কুলে এসে কথা বলতে পারতেন অভিভাবকেরা। সেই কারণেই বারবার স্কুলের তরফে ফোন করা হয়েছিল তাঁদের।
হুগলি: স্কুলের ফি দেওয়া হয়নি। আর সে কারণেই পড়ুয়াকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল স্কুলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঠিক সময়ে স্কুলে যায় ওই পড়ুয়া। কিন্তু ছুটি হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনা পড়ুয়া। এরপরই খোঁজ খবর শুরু করেন পরিবারের লোকজন। পরে জানা যায় স্কুলেই বসিয়ে রাখা হয়েছে ওই ছাত্রকে। এমনকী অভিভাবকদের স্কুলের তরফে কিছু জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ পরিবারের। তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিল ওই শিশু।
হুগলির হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। ক্লাস সিক্সের এক ছাত্রকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ফি জমা করতে না পারায় তাকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। স্কুল ছুটি হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয় ছাত্রের। পুলকার চালকের থেকে বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, স্কুলের অন্য বাচ্চাদের ছেড়ে দিলেও আটকে রাখা হয়েছে ওই ছাত্রকে।
খবর পেয়ে ছাত্রের বাবা ভিকি সাচদেবা বাড়ি ফিরে দেখেন, স্কুল থেকে তিনজন তাঁর ছেলেকে বাড়িতে দিতে এসেছেন। এরপর ওই তিনজনকে ছাত্রের বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রের বাবা জানান, তাঁর ছেলের গত অগস্ট মাস থেকে ফি বাকি। সোমবার স্কুল থেকে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি জানিয়েছিলেন নভেম্বরের শেষে মিটিয়ে দেবেন পুরো টাকা। তারপরেও ছেলেকে কেন আটকে রাখা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। স্কুলের কর্মীরা জানান,প্রিন্সিপাল ফোন করে অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর ছাত্রকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল সোনিতা রায় জানান, অগস্ট মাস থেকে ফি বাকি রয়েছে ওই ছাত্রের। তারপরও স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করছিল ওই ছাত্র, পরীক্ষাও দেয় সে। প্রিন্সিপ্যালের দাবি, পরিবারের কোনও অসুবিধা থাকলে সরাসরি স্কুলে এসে কথা বলতে পারতেন অভিভাবকেরা। সেই কারণেই বারবার স্কুলের তরফে ফোন করা হয়েছিল তাঁদের। আর এদিন পড়ুয়ার বাবা আসবেন বলেই ছাত্রকে স্কুলে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি প্রিন্সিপ্যালের।