Shahid Imam: খেলার মাঠেই মাথা তুলছে ‘মহারাজ’-এর ‘প্রাসাদ’, অনুমোদনের কাগজ আদৌ আছে তো?
Shahid Imam: এলাকার মানুষ বলছেন জোরজবরদস্তি করে দখল করে নেওয়া হয়েছে এই মাঠ। জনস্বার্থ মামলা করেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
আরামবাগ : মহারাজা বলেই তাঁকে চেনেন আরামবাগের মানুষ। প্রভাবে, অর্থে কার্যত তিনি নাকি মহারাজার মতোই ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলির বাসিন্দা শাহি ইমাম গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে আসছে তাঁর একের পর এক কীর্তি। তাঁর নির্ণীয়মান বাড়ি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনও প্রাথমিক স্কুলের বাড়ি। বাড়িটি সম্পূর্ণ না হলেও, তার প্রাথমিক পরিকাঠামোই বলে দিচ্ছে প্রাসাদ বানাচ্ছিলেন ‘মহারাজা’। কিন্তু সেই বাড়ির অনুমোদন আছে তো?
শাহিদ ইমামের সেই বাড়ির অনুমোদনের কাগজপত্র নাকি খুঁজেই পাচ্ছে না পুরসভা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জোর করে মাঠ দখল করে বাড়িটি তৈরি করা হচ্ছিল।
আরামবাগ পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনাপাড়ায় শাহিদ ইমাম ওরফে মহারাজের বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। সেই ‘রাজপ্রাসাদে’র অনুমতিপত্রই খুঁজে পাচ্ছে না আরামবাগ পুরসভা। ইঞ্জিনিয়ার সেকশনে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, ঘোনাপাড়ার পার্শ্ববর্তী কানা দ্বারকেশ্বর নদীর পাশেই শাহিদের এই বাড়ি। যেখানে একসময় ছিল খেলার মাঠ। পুলিশ প্রশাসনকে হাত করে খেলার মাঠ দখল হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, এই কানা দ্বারকেশ্বর নদী থেকেই মাটি তুলে খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল। সেই মাঠই প্রভাব খাটিয়ে দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেশিরভাগ মানুষজন ক্যামেরার সামনে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। কয়েকজন মুখ খুললেও তাঁরা বলছেন, যাঁর ক্ষমতা তাঁরই আইন। এ ব্যাপারে আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কাগজ খুঁজতে বলেছি। কাগজ না দেখে কোনও কথা বলব না। আইন মেনে না কাজ করলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, তৃণমূলের যুবনেতা শাহিদ ইমাম হাওড়ার একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।