Balagarh Murder: কানাকড়িও ছাড়বে না,ইট দিয়ে বাবাকে থেঁতলে দিল গুণধর ২ ছেলে

Balagarh Murder: মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেহুলা আয়দা গ্রামে। মৃতের নাম মদন ঘোষ (৬৮)। ওই বৃদ্ধের দুই ছেলে মন্টু ও সন্তু। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি হচ্ছিল। মদনবাবু জমি জায়গা আছে তার অর্ধেক দুই ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন। বাকিটুকু কেন ভাগ হয়নি সেই নিয়েই মূলত অশান্তি ছিল।

Balagarh Murder: কানাকড়িও ছাড়বে না,ইট দিয়ে বাবাকে থেঁতলে দিল গুণধর ২ ছেলে
ছেলের প্রহারে মৃত্যু বাবারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2024 | 5:25 PM

বলাগড়: বৃদ্ধ বাবা আগেই দুই ছেলেকে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের রোষ থেকে ছাড় পেলেন না তিনি। যে টুকু কানাকড়ি বাবার কাছে ছিল তা পেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। শেষে গুণধর দুই ছেলে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করল বাবাকে। তারপর লাশ গায়েব করার চেষ্টা। পরে এলাকাবাসী দেখে ফেলায় সেখান থেকে চম্পট দিল অভিযুক্ত যুবকরা।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেহুলা আয়দা গ্রামে। মৃতের নাম মদন ঘোষ (৬৮)। ওই বৃদ্ধের দুই ছেলে মন্টু ও সন্তু। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি হচ্ছিল। মদনবাবু জমি জায়গা আছে তার অর্ধেক দুই ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন। বাকিটুকু কেন ভাগ হয়নি সেই নিয়েই মূলত অশান্তি ছিল।

দুই ছেলেরই দোতলা বাড়ি আছে। এ দিকে বৃদ্ধবাবার টিনের চাল। তা থেকে জল পড়ে। সেই কারণে বৃদ্ধ ছেলেদের সেই টিনের চাল কিনে দিতে বলেছিল। সেই নিয়েই শনিবার সকালে ঝগড়া শুরু হয়।

অভিযোগ, নিজের বাবাকে গালাগালি করতে থাকেন অভিযুক্ত ছেলেরা। শুধু তাই নয়, বাবার মাথায় ইটের ঘা বসিয়ে দেয় একজন। এতেই জ্ঞান হারান তিনি। এরপর বাবা মারা গিয়েছে ভেবে ট্রলিতে করে গঙ্গার ঘাটের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। এরই মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসে। এ দিকে, লোকজন দেখে ফেলায় ভ্যান রেখে পালিয়ে যায় ছেলেরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। এরপর বলাগড় থানার পুলিশ তাঁকে ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই মদনবাবুকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য। অভিযুক্ত পুত্রদের খুঁজছে পুলিশ। মৃতের ছোটো বৌমা রূপা ঘোষ বলেন,”আমি রান্না করছিলাম। টিন নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল বাবার সঙ্গে স্বামী আর ভাসুরের। তারপর কী হল জানি না।ট্রলি ভ্যানে বাবাকে চাপিয়ে নিয়ে বলল হাসপাতালে যাচ্ছি।”