Khanakul: ঝুলছে চাঙর, বিপদ মাথায় নিয়েই চলছে দুধের শিশুদের ক্লাস
Hooghly: হুগলির খানাকূল ২ নম্বর ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এক প্রকার বিপদের মধ্যেই চলছে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
খানাকূল: ছোট-ছোট শিশুরা বসে পড়াশোনা করছে। ঠিক তার উপরে তাকালে আঁতকে উঠতে হয়। ছাদ থেকে চাঙর খসে পড়ছে। ঝুলছে লোহার খাঁচা। আর নীচে বসে ক্লাস করছে ছোট শিশুরা।
হুগলির খানাকূল ২ নম্বর ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এক প্রকার বিপদের মধ্যেই চলছে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তার উপরও রান্না ঘরও নেই। তাই খোলা জায়গাতেই রান্না করার অভিযোগ ওঠে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে। এই কেন্দ্রের নিজস্ব কোনও বাথরূমও নেই। যার জেরে পদে-পদে বিপদ এই দুধের শিশুদের।
জানা গিয়েছে, অত্যন্ত ভয়ের মধ্যে দিয়েই দিদিমণিরা শিশুদের পড়াশোনা করান। বারবার পঞ্চায়েতে বলা সত্ত্বেও কারোর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই এলাকায় বাড়ছে অভিভাবক এবং অভিভাবিকাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ। প্রায় ১০ বছর ধরে এই অবস্থায় চলছে খানাকুলের গৌরাঙ্গচকের এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি।
খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা এই রকমই। এখানে প্রায় ৫০ জনের মত শিশু পড়াশোনা করে। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরের যা অবস্থা তাতে যে কেনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই আশঙ্কায় আশঙ্কিত অভিভাবিকারা। খানাকুলের গৌরাঙ্গচক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদটির ভগ্নদশা। বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও ফল পাননি তারা। তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আর না পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছেন অভিভাবিকারা।তাদের দাবি অবিলম্বে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির মেরামত করা হোক। তা না হলে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এক শিক্ষক বলেন, ‘পঞ্চাশ জনের মতো বাচ্চা এখানে পড়াশোনা করে। প্রায় দশ থেকে বারো বছর ধরে এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর এই অবস্থায় বাচ্চাদের পড়াতেও ভয় লাগে কারণ যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই আমার আর্জি দ্রুত এই কেন্দ্রটিকে মেরামতি করা হোক।’