‘ধড়ফড়িয়ে জেগেই দেখি হেলে আছে গোটা ট্রেন…’, আতঙ্কের ভোর ভুলতে পারছেন না অঞ্জনা-শ্যামাপ্রসাদ
Train Accident: হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন হুগলির খামারগাছির ওই দম্পতি। তাঁদের বাড়ি হুগলির বলাগড়ের খামারগাছি মুক্তকেশী তলায়। অঞ্জনা হালদার চন্দননগর কমিশনারেটে কর্মরত। তাঁর চিকিৎসার জন্যই মুম্বই যাচ্ছিল ওই দম্পতি।
হুগলি: আবারও এক রেল দুর্ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। ট্রেনের কামরায় তখন ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকা যেন একটা ঝটকা লাগে। কী হল, সেটা কেউ বুঝে উঠতে পারেননি প্রথমটায়। ট্রেন থেকে যাঁদের বের করা হয়েছে, তাঁদের চোখে-মুখে শুধু আতঙ্ক। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন হুগলির দম্পতি। মুম্বই যাচ্ছিলেন তাঁরা। সুস্থ অবস্থায় ফিরলেও ট্রেন ওঠার কথা শুনলেই ভয় পাচ্ছেন শ্যামাপ্রসাদ হালদার ও অঞ্জনা হালদার।
হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন হুগলির খামারগাছির ওই দম্পতি। তাঁদের বাড়ি হুগলির বলাগড়ের খামারগাছি মুক্তকেশী তলায়। অঞ্জনা হালদার চন্দননগর কমিশনারেটে কর্মরত। তাঁর চিকিৎসার জন্যই মুম্বই যাচ্ছিল ওই দম্পতি। সকালে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দম্পতির পরিবার। শ্যামাপ্রসাদ বাবুর দাদা রামপ্রসাদ হালদার জানান, সকালেই ভাইয়ের ফোন আসে তাঁর কাছে। আতঙ্কে তখন খুব কান্নাকাটি করছেন অঞ্জনা।
শ্যামাপ্রসাদ বাবু ফোনে জানান, তখন ভোর সাড়ে তিনটে। হঠাৎ ঝাঁকুনি আর প্রচণ্ড শব্দে ট্রেনের কামরা হেলে পড়ে। বি-২ কামরায় ছিলেন তাঁরা। পিছনের দিকের মোট ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। চক্রধরপুরের কাছে ওই লাইনের পাশে আরও একটি লাইন তৈরি হচ্ছে। সেই লাইনের নীচে গভীর খাদ ছিল। শ্যামাপ্রসাদ বাবু বলেন, ‘হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে। ধড়ফড়িয়ে উঠে দেখি ট্রেন হেলে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারত।’
শ্যামা প্রসাদ জানান, মুম্বই এক্সপ্রেস বাঁদিকের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল। ডানদিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সেই মালগাড়ির উপরে প্লাস্টিক ঢাকা ছিল। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েচে, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।