Swasthya sathi: স্বাস্থ্য সাথী থাকলেও এড়িয়ে চলুন এই ভুলটা, নাহলে নার্সিংহোমে গিয়ে বোকা হতে পারেন আপনিও
Swasthya sathi: পরিবারের দাবি, সেই মতো নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রাজি হওয়ায় কানাইলালকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়।
আরামবাগ: ‘স্বাস্থ্য সাথী’র নামে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতিবাদ করার রোগীর আত্মীয়কেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। মাথা ফাটল রোগীর ছেলের! তিনিও ভর্তি হলেন হাসপাতালে। আরামবাগের (Arambag Nursinghome) একটি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা কানাইলাল লাগা গত বুধবার সাইকেল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। তাতে তাঁর কোমরের বাঁদিকের হাড় ভেঙে যায়। এই অবস্থায় তাঁকে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসক দেখানোর জন্য আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কানাইলালকে দেখে অপারেশন করার পরামর্শ দেন। তিনি তাঁকে ওই নার্সিংহোমেই স্থানান্তরিত করেন। এই নার্সিংহোমটি স্বাস্থ্য সাথী মান্যতা প্রাপ্ত হওয়ায় কানাইলালের ছেলে রাজীব স্বাস্থ্য সাথীর মাধ্যমে অপারেশন করার আবেদন করেন।
পরিবারের দাবি, সেই মতো নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রাজি হওয়ায় কানাইলালকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, অপারেশনের আগের দিন ছেলেকে বলা হয় ১৫ হাজার টাকা জমা করতে হবে এবং সেটা করতে হবে অপারেশনের আগেই।
রাজীব কোনওরকমে ১০,০০০ টাকা জোগাড় করে নার্সিংহোমে জমা দেন। তারপরে রাজিব খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সবটাই বিনা পয়সায় হয়। তাই নার্সিংহোমে গিয়ে তিনি ব্যাপারটি জানতে চান যে কেন দশ হাজার টাকা জমা করতে হল, এবং তা কীসে খরচ হয়েছে? তিনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। এর পরেই শুরু হয় বচসা। তর্ক বির্তক।
অভিযোগ, ওই নার্সিংহোম মালিকের সামনেই নার্সিংহোমের কর্মী-সহ বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করে রাজীবকে। এই ঘটনায় রাজীবের মাথা ফেটে যায়। তার মাথায় পাঁচটি সেলাইও পড়ে। তাকে আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা নার্সিংহোমে কথা বলতে গেলে তারা দীর্ঘক্ষন দাঁড় করিয়ে রাখেন সাংবাদিকদের। পরে তারা কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়ে দেন। অভিযোগ উঠছে, আরামবাগের একাধিক নার্সিংহোমে নাকি এই ধরনের একটি প্রতারণা চলছে। এ প্রসঙ্গে. আরামবাগ পৌরসভা চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সমীর ভান্ডারি বলেন, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে মানুষের সঙ্গে ওরা ছিনিমিনি করছে। আমি সবাইকে বলেছিলাম, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে পয়সা দাবি করবি না। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ যেন পদক্ষেপ করে। আমি বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। এলাকার অনেক নার্সিং হোমই করছি। আমি সাধারণ মানুষকে বলব স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে টাকা দিতে না।” আগে থেকেই যাতে নার্সিংহোমে টাকা না দেন, তার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উপভোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।