SSC Scam : তৃণমূল নেতার স্ত্রী ‘অঙ্কের দিদিমণি’, রাতারাতি ‘অযোগ্য’ হয়ে গেলেন কমিশনের তালিকা বেরতেই
Hooghly: যখন রাজ্য জুড়ে ভুয়ো শিক্ষক নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছে সেখানে খানাকুলের এই বিষয় নিয়ে নইমুল হক ও তার স্ত্রী নমিতা আদকের একটি ছবি সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
আরামবাগ: তিন বছর ধরে পড়াচ্ছেন স্কুলে। বিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবেই পরিচিত। এবার তাঁরই নাম উঠে এল অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায়। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকা খানাকুল ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নইমুল হকের সহধর্মিনী নমিতা আদক। কমিশনের প্রকাশিত অযোগ্যদের তালিকায় জেনারেল ক্যাটগরিতে গণিত বিষয়ে ওই মহিলার নাম রয়েছে। আর এই নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। নমিতা আদক আরামবাগের গৌরহাটি দুর্গাদাস বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি চাকরিতে জয়েন করেছেন নমিতা আদক। তিনি এখনও স্কুলে আছেন। নিয়মিত স্কুলে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ডি আই অথবা এ ডি আই অফিস থেকে আমাদের জানানো হয়নি।” এই বিষয় নিয়ে খানাকুলের তৃণমূল নেতা নইমুল হক ওরফে রাঙা ও নমিতা আদক ক্যামেরার সামনেই আসতে চাননি।
রাজ্য জুড়ে ভুয়ো শিক্ষক নিয়ে ব্যাপক হইচইয়ের আবহে খানাকুলের তৃণমূল নেতা নইমুল হক স্ত্রীর এই খবর সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও নেতারা। খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীও ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেছেন, “রাজ্য নেতৃত্ব কোনও কথা বলতে না চাইলে আমরা এই বিষয়ে কী বলব।”
বিজেপির খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “তৎকালীন বিধায়ক (ইকবাল আহমেদ) তৃণমূল কংগ্রেসের যিনি ছিলেন ওনার হাত ধরে খানাকুল বিধানসভার অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা চাকরি পেয়েছেন। নেতার আত্মীয়রা অনেকের চাকরি করে দিয়েছেন। খানাকুলে শুধু রাঙার স্ত্রী পেয়েছেন এটা নয়, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা কয়েক হাজার চাকরি বিক্রি করেছে। এখানে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে।”
সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আরামবাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ভাস্কর রায় বলেন, “একটা কথা আছে না চোরের মায়ের বড় গলা। তেমনি তৃণমূল কংগ্রেসের দলটারও তাই হয়েছে। জনরোষ যখন হবে তখন আর কেউ কিছু মানবে না। স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেবে। নৈতিকতা নেই বলেই স্কুলে যাচ্ছে। স্বামী তৃণমূলের নেতা তাই যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন।” এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “যদি তার সততা থাকত তাহলে সে ক্যামেরার সামনে আসত। সততা নেই ভয়ে আসছে না। ক্ষমতার প্রভাব।” বিজেপির পুরশুড়া বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিমান ঘোষ যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।