CPIM-TMC: সিপিএমকে আবারও শূন্য করে ছাড়ল তৃণমূল, তিন দশকের সমবায়ও হাতছাড়া
Singur: যে ভোট নিয়ে দফায় দফায় উত্তেজনাও ছড়ায়। এমনই অশান্তি বাধে যে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামলায়। ভোটের ফলাফলে সেখানে দেখা গেল শুধুই তৃণমূল সমর্থকদের জয়। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে ছাপ্পা ভোট করিয়েছে তৃণমূল। এমনকী বিরোধীদের মারধর করে বুথ থেকেও বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
হুগলি: বিধানসভায় শূন্য, লোকসভাতেও শূন্য। পুরসভা বলতে একমাত্র তাহেরপুরেই সিপিএম রয়েছে। এবার পঞ্চায়েতেও ধাক্কা দেওয়া শুরু করল তৃণমূল। দীর্ঘ তিন দশক যে সমবায় সমিতিতে লাল পতাকা উড়েছে, এবার সেখানে সবুজ, ঘাসফুলের ছড়াছড়ি। বামেদের দখলে থাকা সমবায় সমিতিও জিতে নিল শাসকশিবির। রবিবার সিঙ্গুরে গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল।
যে ভোট নিয়ে দফায় দফায় উত্তেজনাও ছড়ায়। এমনই অশান্তি বাধে যে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামলায়। ভোটের ফলাফলে সেখানে দেখা গেল শুধুই তৃণমূল সমর্থকদের জয়। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে ছাপ্পা ভোট করিয়েছে তৃণমূল। এমনকী বিরোধীদের মারধর করে বুথ থেকেও বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
যদিও যদিও নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা হয়। ৩৫ বছর ধরে বামেদের দখলে থাকা গোবিন্দপুর সমবায় সমিতি পায় তৃণমূল। ১৯৮৯ সাল থেকে যখন প্রথম সমিতি গঠন হয়, তখন থেকেই এখানে লাল পতাকার দাপট। ২০১৮ সালে ৪৫ টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসন পায় বামেরা। ১২টিতে তৃণমূল জেতে।
তবে এবারের সমবায় ভোটে ৪৫-এ ৪৫-ই পেল তৃণমূল। সমবায় এখন তাদের। জিতে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বরং সিঙ্গুরের শাসকনেতা বেচারাম মান্না বলেন, “গোবিন্দপুরে সমবায় সমিতির নির্বাচনে আমরা ৪৫-০ ভোটে জয়ী হলাম। এখানে সিপিএম এবং বিজেপি রামধনু জোট গড়ে লড়েছিল। তাদের জোটও তৃণমূলকে হারাতে পারল না। আমরা ৩৫ বছর পর সিপিএম বিজেপির থেকে বোর্ড ছিনিয়ে নিলাম।”
যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতা প্রদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “ব্যাপক হারে ছাপ্পা হয়েছে। ভোটই দিতে দেয়নি। ওরা নিজেদের মনে মত করে ভোট দিয়েছে। সিঙ্গুর থানার একটি সমবায় বামপন্থীদের হাতে ছিল, সেই সমবায় ছিনিয়ে নিতেই এত কিছু।”