TMC Worker Injured: ‘আগে মদ না আগে খাবার?’… এই নিয়ে ধুন্ধুমার, মাথা ফেটে রক্তারক্তি তৃণমূল নেতার
Goghat: প্রশ্ন উঠছে, থানা থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এভাবে প্রকাশ্যে মদ কীভাবে বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ, এই দোকানির কোনও লাইসেন্স নেই। তেমনটা যদি সত্যি হয়, তা হলে পুলিশ কী করছে?
হুগলি: এলাকায় দিনরাতের ক্রিকেট খেলা। রাতে ছেলেরা রুটি তরকা খেতে চেয়েছিল। সেই রুটি কেনা ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে তুলকালাম বাধে গোঘাটের বকুলতলায়। মাথা ফেটে রক্তে ভাসলেন এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, বেআইনিভাবে এলাকায় হোটেলের সঙ্গে মদ বিক্রি করেন এক ব্যক্তি। তাঁর কাছেই ওই তৃণমূল কর্মী ২০ পিস রুটি ও তিনটি তরকার অর্ডার দেন। পাল্টা দোকানের মালিক বলেন, এখন এই অর্ডার তিনি নিতে পারবেন না। এরপরই তৃণমূলের ওই কর্মী-সহ আরও একজনকে বঁটি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহতদের নাম চন্দন ঘোষ ও বিকাশ রানা। আহতদের গোঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আহত তৃণমূল কর্মীর দাবি, ওই হোটেল মালিক জানান, গোঘাট থানার পুলিশের অনুমতি নিয়েই এই হোটেল তিনি চালান।
আহত তৃণমূল কর্মী চন্দন ঘোষ বলেন, “আমাদের এখানে ডে নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আছে। দলের অনেক নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যে ছেলেরা সারাদিন খাটছে ওরা বলল রুটি, তরকা খাবে। আমরা এখানকার একটা হোটেলে রুটি, তরকার অর্ডার দিতে গেলে হোটেল মালিক ও তাঁর ছেলে বলছে দেওয়া যাবে না। বলছে, ‘দোকানে কাস্টমার আছে, মদ খাচ্ছে’। আমরা তখন পাল্টা বলি, কার অনুমতিতে এই মদের ব্যবসা হচ্ছে? বলছে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করায় হোটেল মালিক মেরেছে বঁটি দিয়ে। মাথায় তিনটে সেলাই পড়েছে।” বিকাশ রানার কথায়, “মদ আগে না খাবার আগে? খাবার দিতে বলায় হোটেল মালিক বঁটি দিয়ে মারল।”
প্রশ্ন উঠছে, থানা থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এভাবে প্রকাশ্যে মদ কীভাবে বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ, এই দোকানির কোনও লাইসেন্স নেই। তেমনটা যদি সত্যি হয়, তা হলে পুলিশ কী করছে? যদিও এই হোটেলের এক কর্মী জানান, ওই দুই তৃণমূল কর্মী ইচ্ছাকৃত ঝামেলা শুরু করেন। পাল্টা অভিযোগ, দুই তৃণমূল কর্মী টাকা ছাড়া মদ নিতে গিয়েছিলেন। তা থেকেই ঝামেলা। প্রথমে তৃণমূলের দুই কর্মীই চড়াও হন বলে তাঁর অভিযোগ। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে হোটেলটি।