Body Recover: রাত পৌনে ১২টায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ভয়ঙ্কর পরিণতি

Hooghly: রিম্পার মা, বাবা জানান, মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হত। অশান্তির কথা বললে, তাঁরা মেয়েকে বোঝাতেন যাতে মানিয়ে নিয়ে স্বামীর ঘর করেন।

Body Recover: রাত পৌনে ১২টায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ভয়ঙ্কর পরিণতি
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2023 | 4:11 PM

হুগলি: সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন যুবতী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখিয়ে আসেন স্বামীর সঙ্গে। এরপর রাতেই অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হয় তাঁর। নিহতের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ির দিকে তাঁর অভিযোগের আঙুল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় চুঁচুড়ার (Chinsurah) রবীন্দ্রনগর কালীতলায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের বাসিন্দা রিম্পা কর্মকার (২৪)। ১০ মাস আগে কালীতলার রঞ্জিত সাহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সাত মাসের সন্তানসম্ভবা ছিলেন রিম্পা। রিম্পার মায়ের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জামাই ফোন করে জানান রিম্পা মারা গিয়েছেন। ইমামবাড়া হাসপাতালে সকালে গিয়ে মেয়ের দেহ দেখেন বাপের বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে বাড়ির বউ মৃত অবস্থায় পড়ে, অথচ সেখানে শ্বশুরবাড়ির কেউ ছিল না বলেই দাবি করেন রিম্পার মা মণিকা কর্মকার। চুঁচুড়া থানায় মেয়েকে খুনের অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। যদিও নিহতের স্বামী রঞ্জিত সাহার বক্তব্য, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

রিম্পার মা, বাবা জানান, মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হত। অশান্তির কথা বললে, তাঁরা মেয়েকে বোঝাতেন যাতে মানিয়ে নিয়ে স্বামীর ঘর করেন। মণিকা কর্মকার বলেন, “কাল মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে এসেছে। সাড়ে ৭টার পর মেয়েকে ফোন করলাম। কথাও হল। পৌনে ৯টার সময় আবার ফোন করি। কিন্তু মেয়েকে পাইনি। মেসেজও করেছি। কোনও রিপ্লাই নেই। পৌনে ১২টার সময় ফোন করে বলছে, মা রিম্পা নেই। আমি তো শুনে অবাক।”

রিম্পার মায়ের কথায়, মেয়েটাকে শ্বশুর, শাশুড়ি খুব বিরক্ত করতেন। মেয়ের যখন সম্বন্ধ হয় তখন শ্বশুরবাড়ির লোক বলেছিলেন কোনও দাবিদাওয়া নেই। কিন্তু মেয়েটাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে দিল। তিনি বলেন, “শাশুড়ি অত্যাচার করত মেয়েকে। মেয়েটা বলত, মা ওদের চাহিদা ছিল। তোমরা বুঝতে পারোনি। সবসময় মেয়ে ভয়ে থাকত। জামাই কিছু করত না। কিন্তু জামাই না থাকলে শাশুড়ি মেয়ের পিছনে লেগে থাকত।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।