Violence: ‘দেওয়ালে ঠেসে ধরে বাবা আমার সঙ্গে…’, রাস্তায় বেরিয়ে এসে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ মেয়ের
Hooghly News: উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ১৭ বছরের ওই নাবালিকার অভিযোগ, বছর চারেক আগে মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই মেয়ের উপর নানাভাবে অত্যাচার করছেন বাবা।
উত্তরপাড়া: বাবা-মেয়ের সম্পর্কে কোনও হিসাব চলে না। মেয়েদের সবথেকে নিরাপদ আশ্রয় বাবা। প্রায় প্রত্যেকটা মেয়ের কাছেই তার বাবা বটবৃক্ষ। তবে শাক সবুজ হলেও লালশাকের মতো ব্যতিক্রম যেমন হয়, তেমনই ব্যতিক্রমী আছে বাবা-মেয়ের সম্পর্কও। হুগলির উত্তরপাড়ার (Uttarpara) ১৭ বছরের এক নাবালিকা অভিযোগ তুলেছে, তার বাবা দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তাকে। নিয়মিত তাকে মারধর করে, আটকে রাখেন বাথরুমে। মায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই বাবা মেয়ের উপর অত্যাচার করেন বলে অভিযোগ। গায়ে হাত দেন কথায় কথায়। মাটিতে ফেলে মারধর করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই ব্যক্তির দাবি, সবটাই মিথ্যা। তিনি জানান, আগে মদ খেতেন। এখন ঠাকুর নিয়ে থাকেন। মেয়ে যা বলছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই। তবে পাড়ার লোকজনের দাবি, ঘরে সকলেরই মেয়ে রয়েছে। কারও মেয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে তো এমন অভিযোগ করেন না। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখুক, দাবি তাঁদের। এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। অভিযোগকারী নাবালিকাকে তার মাসির বাড়িতে পাঠানো হয়। অন্যদিকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ১৭ বছরের ওই নাবালিকার অভিযোগ, বছর চারেক আগে মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই মেয়ের উপর নানাভাবে অত্যাচার করছেন বাবা। মদ্যপ অবস্থায় বাবা মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে অশান্তি হয়েছে অনেকবার। নাবালিকা তার মাসির বাড়ি চলে গেলে সেখানে গিয়েও বাবা ঝামেলা করেন বলে জানায় অভিযোগকারী।
ওই নাবালিকার বক্তব্য, “বাবা খুব খারাপ কথা বলে, মারধর করে। নোংরা নোংরা কথা বলে আমাকে। মা চলে যাওয়ার পর বেড়ে গিয়েছে এসব। গায়ে হাত দেয় পর্যন্ত। বাড়ি থেকেও বেরোতে দেয় না। বাথরুমে আটকে রেখে দেয় মাঝে মাঝেই। দেওয়ালে ঠেসে ধরে মারে। আমি আর বাবার কাছে থাকতে চাই না। মাসিদের কাছে চলে যেতে চাই।” যদিও অভিযুক্তের কথায়, “আমি এরকম কিছুই করিনি। মেয়ে আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে। আমি সারাদিন ঠাকুর নিয়ে থাকি। আগে মদ খেতাম। এখন ছেড়ে দিয়েছি। আমাকে একবার মেয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কেন খাইয়েছিল তা জানি না।”