TMC: বিজেপির সভামঞ্চ থেকেই পাল্টা সভার প্রচার তৃণমূলের, ‘সৌজন্য’ বলছে শাসকদল
যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির মাইক ব্যবহার করা হয়নি।
চণ্ডীতলা: বিজেপি (BJP)-র সভামঞ্চের বাঁধা মাইকেই শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের পাল্টা সভার প্রচার। রবিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী হল হুগলির চণ্ডীতলা এলাকা। মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার সভাস্থল ছাড়তে না ছাড়তেই সেখান থেকেই পাল্টা সভার প্রচার শুরু করল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব।
ঠিক কী হয়েছে? এদিন বিকালে হুগলির (Hooghly) মশাটের চণ্ডীতলা এলাকায় জনসভা করেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও সেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ বক্তৃত্বা দেন। তারপর সভা শেষে সবে তাঁরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন, বিজেপি কর্মীরা বাড়ির পথ ধরেছেন, তখনও মাইক-মঞ্চ খোলা হয়নি, এমন সময় মাইকে শোনা গেল, ‘বিজেপির মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আগামী ২৪ তারিখ সভা হবে তৃণমূলের’।
মিঠুন চক্রবর্তীর সভার জন্য মশাটের চণ্ডীতলা এলাকার কয়েক কিলোমিটার জুড়ে মাইক বেঁধেছিল বিজেপি। সেই মাইকেই পাল্টা সভার প্রচার করল তৃণমূল। তাও বিজেপির ওই সভামঞ্চের সামনে থেকেই। যা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেন, “এটা করতেই পারে। গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেই জায়গাটা ওদের ভালো লাগে। তৃণমূলের উচিত, নিজেদের সভা না করে আমাদের সভায় চলে আসুক।”
যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির মাইক ব্যবহার করা হয়নি। দলের নির্দেশ এসেছে, বিজেপির পাল্টা সভা করতে হবে। তাই সকালেই মাইকম্যানের সঙ্গে কথা বলা ছিল। বিজেপির সভা শেষ হওয়ার পর ওই মাইকে প্রচার করা হয়। আবার তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি অমরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চণ্ডীতলায় রাজনৈতিক সৌজন্য আছে। শাসক-বিরোধী একসঙ্গে রাজনীতি করি।”