Sukanta Majumdar: কোন্নগরে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত বললেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে যাব’
Hooghly News: এদিকে সুকান্ত মজুমদার গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঢুকতেই পুলিশ বারবার গাড়ি ঘোরানোর জন্য বলেন।
হুগলি: রিষড়ায় অশান্তির ঘটনার পর সোমবার নতুন অভিযোগ। কোন্নগরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাঁকে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার পথে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই কাউকে যেতে দেওয়া যাবে না। যদিও সুকান্তের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনের অবাধ যাতায়াত রয়েছে এলাকায়। অথচ বিজেপির লোকজন যেতে চাইলে আটকে দিচ্ছে পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অথচ তৃণমূলের সাংসদ, চেয়ারম্যান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের জন্য কি কোনও ধারা নেই? তাঁরা গেলে যদি ধারা লঙ্ঘন না হয়, তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে কীভাবে হয়? সমস্ত বিষয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাব। আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও কথা হয়েছে।”
এদিকে সুকান্ত মজুমদার গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঢুকতেই পুলিশ বারবার গাড়ি ঘোরানোর জন্য বলেন। সুকান্ত মজুমদারও প্রথমে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। পথে নামেন প্রচুর বিজেপি সমর্থক। এদিকে পুলিশও ব্যারিকেড করে রাখে রাস্তা। কোনওভাবেই এগোনোর অনুমতি দিতে নারাজ।
সুকান্তের সঙ্গে ছিলেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনিও কথা বলেন পুলিশের সঙ্গে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের সাংসদরা প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে এই বিষয়ে তাঁকে জানাবেন। প্রয়োজনে আমরা আরও তীব্র আন্দোলন করব। মুখ্যমন্ত্রী যদি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সামাল দিতে না পারেন, তাহলে তাঁর পদত্যাগের জন্য যা যা গণতান্ত্রিকভাবে করা যায় সবটাই করব।”
এ বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী তথা জেলার জাঙ্গিপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সুকান্ত মজুমদার ওখানে গিয়েছেন কেন? এই সময় ওই জায়গা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশেরই। তাদের উপর ছেড়ে দিতেই হবে। সুকান্ত মজুমদার ওখানে গিয়ে কী করছেন? উনি বাইরে থেকে আসছেন কীভাবে? ওখানে স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেন। তাঁর দায়িত্ব আছে। বাইরে থেকে দিলীপ ঘোষ কী করে যান ওখানে? উনি কতটুকু জানেন এলাকা সম্পর্কে?” যদিও পাল্টা সুকান্তের বক্তব্য, পাল্টা সুকান্ত বলেন, “এ রাজ্যে স্পর্শকাতর জায়গা থাকবেই বা কেন? আপনাদের সরকার তাহলে কী করছে?”