TMC: ‘আমার শাড়ি ধরে টানাটানি করছিল’, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

TMC: এদিকে এই মারধরের খবর ছড়াতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। তাঁরা অলোক সাঁতরার শাস্তির দাবিতে অলোককে ঘেরাও করেন বলেও অভিযোগ।

TMC: 'আমার শাড়ি ধরে টানাটানি করছিল', প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
অলোক সাঁতরা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 10:36 PM

হুগলি: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ভাইকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের লোকজন। আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ভাই অলোক সাঁতরার বিরুদ্ধে গ্রামেরই এক যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এমনকী এক মহিলার শাড়ি ধরে টানাটানি করারও অভিযোগ ওঠে অলোক সাঁতরার নামে। এই ঘটনা ঘিরে রবিবার দুপুরে তুলকালাম বেধে যায় আরামবাগের মায়াপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের বোলুন্ডি গ্রামে। পরিস্থিতি এমন হয় আরামবাগ থানার পুলিশ এসে নিরাপত্তা দিয়ে প্রাক্তন বিধায়কের ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এখনও কোনও গ্রেফতারি নেই। অন্যদিকে যে যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগ, রবিবার বিকালে এলাকার বর্তমান উপপ্রধান তথা প্রাক্তন প্রধান ও প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ভাই অলোক সাঁতরার নেতৃত্বে তাঁর দলবল তৃণমূল কর্মীদেরই ব্যাপক মারধর করেন। এক যুবকের গরু বাধাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত বলে এক মহিলা জানান। ওই যুবক তৃণমূল কর্মী বলেও দাবি করেন তিনি। আক্রান্ত ওই যুবকের নাম পথিক সাঁতরা ওরফে ফেলা সাঁতরা। তাঁকে ছাড়াতে এলে এক মহিলাও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। আক্রান্তকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে এই মারধরের খবর ছড়াতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। তাঁরা অলোক সাঁতরার শাস্তির দাবিতে অলোককে ঘেরাও করেন বলেও অভিযোগ। পরে আরামবাগ থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও অলোককে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলা সাঁতরা নামে ওই মহিলা জানান, “দুপুর দেড়টার ঘটনা। গরু বাঁধতে গিয়েছিল ফেলা নামে একটা ছেলে। ওকে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। আমি দেখতে পেয়ে ছাড়াতে গেছি। অলোক সাঁতরা ওকে ফেলে আমার শাড়ি ধরে টানাটানি শুরু করে। ওদের বাকি ছেলেরা ততক্ষণে মারধর করে পালিয়ে গিয়েছে। আমাদের কালীতলার কাছে এই ঝামেলা হয়।”

এ প্রসঙ্গে অলোক সাঁতরা বলেন, “এরা আবার তৃণমূল কীসের? একুশে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। এখন আবার তৃণমূল কী করে হল? ওরা কি রং বদলাচ্ছে নাকি? আর মারধরের প্রশ্নই নেই। আমাদের দলের কর্মীদের মারছিল। আমি খবর পেয়ে এলাকা শান্ত করতে যাই। আমাকেও মেরেছে। আমি থানায় জানিয়েছি।”