Ramp Show: অ্যাসিড পোড়াতে পারেনি সাহস, র‍্যাম্পে হাঁটলেন সেই অনন্যারা

Hoogly: সংস্থার তরফে জানানো হয়, দেশের বেশিরভাগ অ্য়াসিড হামলাই হয় বাইকে চেপে এসে। বাইকারদের গায়েও দাগ লাগে।

Ramp Show: অ্যাসিড পোড়াতে পারেনি সাহস, র‍্যাম্পে হাঁটলেন সেই অনন্যারা
র‍্যাম্প শো।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 11:13 PM

হুগলি: র‍্যাম্পে হাঁটলেন অ্যাসিড আক্রান্তরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে র‍্যাম্প শো-এর আয়োজন করে একটি বাইকার সংগঠন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে র‍্যাম্প শোয়ের আয়োজন করে একটি বাইকার সংগঠন। অ্যাসিড আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর ও মনের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হয় তাঁদের। সমাজেরপ্রতিকূলতা তো থাকেই। তবে তাঁরাও যে অনন্যা, তাই মনের জোর আর লড়াকু মানসিকতায় ভর করে নতুন জীবনে পা রাখেন তাঁরা। তাঁদের নিয়ে ওই বাইকারদের সংগঠন হুগলির একটি ওয়াটার থিম পার্কে এই র‍্যাম্প শোয়ের আয়োজন করে রবিবার। উদ্দেশ্য একটাই, যাঁরা অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁরা যেন কখনও নিজেদের একা না মনে করেন। তাঁদের পাশে আছেন অনেকেই।

কিন্তু বাইকার সংস্থার এমন আয়োজন কেন? সংস্থার তরফে জানানো হয়, দেশের বেশিরভাগ অ্য়াসিড হামলাই হয় বাইকে চেপে এসে। বাইকারদের গায়েও দাগ লাগে। বাইকারদের তরফেও একটা বার্তা দেওয়া হল, অপরাধী অপরাধীই। তার আর কোনও পরিচয় থাকতেই পারে না। অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছিলেন এক তরুণী। এদিন র‍্যাম্প ওয়াক করেন তিনি। জানান তাঁর লড়াইয়ের কথা। তাঁর কথায়, প্রতিমুহূর্তেই লড়াই চলছে। ট্রেনে, বাসে, পথেঘাটে। এমনও হয়েছে, গাড়িতে উঠেছেন পাশে কেউ বসতে চায়নি। এমনও শুনতে হয়েছে, ‘মুখ ঢেকে রাখুন। বাচ্চারা ভয় পাবে।’

অ্যাসিড হামলা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সিনেমা হয়েছে। ২০২০ সালে ‘ছপাক’ মুক্তি পেয়েছিল। মালতি নামে এক তরুণীর জীবনের দুর্বিসহ যন্ত্রণার ছবি সেলুলয়েডে তুলে ধরেছিলেন দীপিকা পাডুকোন। সত্যি ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল সে ছবি। বক্সঅফিসেও ভালই চলে। তবে এরপরও কি সচেতনতা এসেছে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রি করা যাবে না। কাউকে বিক্রি করলে ক্রেতার নাম-ঠিকানা, কেনার কারণ লিখে থানায় জমা দিতে হবে। তারপরও শহরে কিংবা গঞ্জেগ্রামে অ্যাসিড বিক্রি বন্ধ করা যায়নি।

এদিন র‍্যাম্পে হাঁটা ওই তরুণী জানালেন, একটা সময় খুব খারাপ লাগত। তবে এখন সেসব পাত্তাও দেন না। রোজকার জীবনে এমন অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়, যাঁরা চেষ্টা করেন, পিছনের দিকে টানতে। তবে জীবনের মন্ত্র যে ‘চরৈবেতি’। তাই সমাজের সব প্রতিকূলতাকে সরিয়ে এগিয়ে চলেন তাঁরা।