Hooghly Murder Case: স্বামীর সঙ্গে দিঘা বেড়াতে গেল, শুনেই রাগ হয়েছিল প্রেমিকের! তাই কি এই মর্মান্তিক পরিণতি জামাইষষ্ঠীর দিন
Hooghly Murder Case: দীপঙ্কর হাওড়ায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে বৈদ্যবাটির ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলের কাছে ফিরতেন। স্বামী না থাকার সুযোগেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দু'জনের অশান্তিও হয়েছে।
হুগলি: জামাইষষ্ঠীর দিন যুবক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্ত্রীর দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল প্রথম থেকে। এবার গ্রেফতার করা হল স্ত্রীর প্রেমিককে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। বৈদ্যবাটির মানিক ঘোষের বাগান এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন হাওড়ার মাকরদহের বাসিন্দা দীপঙ্কর কুণ্ডু। জামাইষষ্ঠীতে খেতে ডেকে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা দাবি করেছিলেন, মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী যুবক প্রসেনজিৎ মাজি ওরফে রিজুর।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, গত ৬ জুন দীপঙ্কর তাঁর স্ত্রী’কে নিয়ে দিঘা বেড়াতে যান। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও স্বামীর সঙ্গে দিঘা বেড়াতে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি প্রেমিক! পুলিশের অনুমান, সেই কারণেই দীপঙ্করকে খুনের পরিকল্পনা করেন রিজু। খুনের পিছনে আর কী কারণ থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
দীপঙ্কর হাওড়ায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে বৈদ্যবাটির ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলের কাছে ফিরতেন। স্বামী না থাকার সুযোগেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দু’জনের অশান্তিও হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবকের কোনও হদিশ ছিল না। শুক্রবার দুপুর ১২ টা নাগাদ শ্রীরামপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে এদিন শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত বুধবার রাতে বৈদ্যবাটি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্জন এলাকায় দীপঙ্করকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।