Photo Shoot: ফটোশ্যুটের নামে প্রতারণা চক্র! পুলিশের জালে গুণধর
Hooghly: ব্রাইডাল, শাড়ি, বোল্ড শ্যুটের জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিত অভিযুক্ত। একবার মহিলারা সেই ফাঁদে পা দিলেই ব্যাস...
হুগলি:নিজের ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা চক্রের জাল ফেলেছিল যুবক। ফটোশ্যুটে মোটা টাকা উপার্জনের টোপ দিয়ে চলত ‘ব্ল্যাকমেল’। পরে গহনা লুঠের অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত।
বছর ছত্রিশের কৃষ্ণ ঘোষ। শিলিগুড়ির ভক্তিনগরের বাসিন্দা তিনি। তবে দু’বছর ধরে তিনি চুঁচুড়া স্টেশনের কাছে একটি আবাসনে ভাড়া থাকতেন।
কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে? চারমাস আগে ব্যান্ডেলের এক মহিলা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ করেন তার গহনা লুঠ হয়েছে। পুলিশ তখনও অভিযুক্তের নাগাল পায়নি।
এরপর শনিবার দুই যুবতী চুঁচুড়া থানায় একই ধরনের অভিযোগ করেন। তাদের বাড়ি বাগুইআটি এলাকায়। অভিযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা ফটোশুটের কথা জানতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ফটোশুটের টাকা বিভিন্ন।শাড়ি,সালোয়ার,বিকিনি বোল্ড,ব্রাইডাল ফটোশুটে যারা আগ্রহী তারা যোগাযোগ করতে পারে ওই ফটোগ্রাফারের সঙ্গে। প্রত্যেক ফটোশুটের চার্জ বিভিন্ন। একবার ফটোশুটে সর্বাধিক আঠেরো হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে তাদের জানানো হয়।
এরপর,বাগুইআটির যুবতীদের পোলবার একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রুম ভাড়া নিয়ে ফটোশুট করা হয়। ব্রাইডাল ফটোশুট করতে হলে নিজেকে গহনা আনতে হবে এমনটাই দাবি করে যুবক। পরে শুটের দিন ওই যুবতিদের কাছ থেকে বিভিন্ন অছিলায় গহনা খুলিয়ে নিয়ে একটি ব্যাগে ভরে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরে আর তার কোনও নাগাল পাওয়া যায়নি।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে একটি স্কুটি ব্যবহার করত অভিযুক্ত। যেটি তাঁর বান্ধবীর। কৃষ্ণর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। এরপর চুঁচুড়ার একটি শপিং মলে সিসিটিভি থেকে কৃষ্ণের ছবি পাওয়া যায়। ফোনের টাওয়ার লোকেশান ধরে যে আবাসনে অভিযুক্ত থাকতো সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারে ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতিয়েও মহিলাদের জালে ফেলত। ফোটো শুটের নামে অর্থের টোপ দিত। পোলবার হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়েই ছবি শুট করত। ব্রাইডাল শুটের নামে বোল্ড ফটো শুট করত। ড্রেস,শাড়ি ব্রাইডাল শুটের নামে বোল্ড শুট করে ব্ল্যাকমেল করে গহনা হাতিয়ে নিত। এইরকম একাধিক অভিযোগ উঠত তার বিরুদ্ধে।
তদন্তকারীরা জানতে পারে সম্প্রতি বেসরকারী একটি স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় গহনা বন্ধক রেখে টাকা তুলেছে কৃষ্ণ। তার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে কোনও অভিযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন দুবছর আগে শিলিগুড়ি থেকে সে চলে আসে তা জানতে শিলিগুড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে চন্দননগর পুলিশ।কতজন মহিলা তার ফাঁদে পরেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বোল্ড ফটো নীল সাইটে ছাড়া হত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। রবিবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হবে।