Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৯০০ কোটির নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, হাওড়ায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: ৯০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে। হাওড়ায় এসে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৯০০ কোটির নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, হাওড়ায় বিস্ফোরক শুভেন্দু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2022 | 9:46 PM

হাওড়া: ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (State opposition leader Suvendu Adhikari)। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় জল জীবন মিশন প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি (900 Cores) টাকার দুর্নীতি করেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। প্রসঙ্গত, শনিবার হাওড়ার শিবপুর কাজিপাড়ায় সনাতন প্রভারি ছটপুজোর একটি অনুষ্ঠানে বস্ত্র বিতরণ করতে এসে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে সীমাহীন দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর নিশানায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক পুলক রায়।

চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় জল জীবন মিশন প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।’’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘এই বড় দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য আমার কাছে এসেছে। কিছুদিন বাদে সব তথ্য ফাঁস করব।’’ তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার তোলা এই অভিযোগ সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় অবশ্য এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 

শুধু মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা নয়, রাজ্যে আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে বলেও এদিন সমাল‌োচনায় সরব হন শুভেন্দু। শাসকদলের আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি রাজ্যের সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার টাকা নেই। অক্টোবর, নভেম্বর মাসের বেতন সরকার ম্যানেজ করতে পারলেও সরকারি কর্মচারীদের ডিসেম্বর মাসের বেতন ম্যানেজ করতে পারেনি। তাই কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্যকে আর কোনওরকম ঋণ না দেওয়া। এটা একটা দেউলিয়া সরকার।’’ 

যদিও এদিন শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, “এতদিন তো মন্ত্রী ছিল ও মনে হয় এরকম করে বেড়িয়েছে। তাই এসব মনে হচ্ছে এখন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য যতটা নীচে নামতে হয় ততটা এরা করছে। বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে বলে মিথ্যা করা ছাড়া ওদের আর কোনও উপায় নেই। আমরা পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করি। ২০২৪ সালে বাংলার মানুষ এসবের জবাব দিয়ে দেবে।”