Bally Murder: সব লণ্ডভণ্ড, ভাঙা শাখা-পলা, ঘর খুলে স্ত্রীকে দেখে চিনতে পারলেন না স্বামী!
Bally Murder: দীপা পালের স্বামীর নাম অক্ষয় পাল। তিনি কলকাতার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। প্রতিদিন ভোরে বের হন, রাতে বাড়ি ফিরে আসেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন দীপা বাড়িতে একাই থাকতেন।
বালি: স্বামী কাজে বেরিয়েছিলেন। ঘরে একাই ছিলেন স্ত্রী। দরজার চাবি স্বামীর কাছে ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে চাবি খুলে ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। পাশে ভেঙে পড়ে রয়েছে শাখা পলা। ঘরের সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড। মাঝে পড়ে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত স্ত্রী। সব মিলিয়ে শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। বালিতে এক গৃহবধূর মৃত্য়ু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ বালি থানার পুলিশ ঘর থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দীপা পাল (৩১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপা পালের স্বামীর নাম অক্ষয় পাল। তিনি কলকাতার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। প্রতিদিন ভোরে বের হন, রাতে বাড়ি ফিরে আসেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন দীপা বাড়িতে একাই থাকতেন। তবে অক্ষয় তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। প্রথম পক্ষের স্বামী ও তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। প্রথম পক্ষের স্বামীকে ছেড়ে বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি অক্ষয়ের সঙ্গে থাকছিলেন।
অক্ষয় জানান, তিনি সোমবার ভোরে কাজে বেরিয়েছিলেন। কাজের মধ্যে দিনে কোনওদিনই সেভাবে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা হত না। রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ঘরের মেঝেতে। মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ঘরের সমস্ত জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তাঁর চিৎকারেই স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
তবে কী কারণে এই খুন এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঘরটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। বালি থানার পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। মৃতার স্বামী অক্ষয় পালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছএ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে খুনের আগে যে ঘরে খুব ধস্তাধস্তিও হয়েছে, তারও প্রমাণ মিলেছে।