Howrah Body Recovery: হাওড়া লঞ্চঘাটের কাছে পড়ে ছিল কসবার মহিলার দেহ, কীভাবে মৃত্যু? উত্তর খুঁজছে পুলিশ
Howrah: ওই মহিলার নাম অঞ্জনা ভাণ্ডারি। বাড়ি কলকাতার কসবা থানা এলাকায়। কসবা থেকে কীভাবে ওই মহিলা হাওড়া লঞ্চঘাটে এলেন, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেই সব দিক খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন পুলিশকর্মী।
হাওড়া: হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন হাওড়া লঞ্চঘাট (Howrah Ferry Ghat)। অতি ব্যস্ত একটি লঞ্চঘাট। প্রতিদিন বহু মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। শনিবার দুপুরে সেই লঞ্চঘাটের কাছে এক অজ্ঞাত পরিচয় মাঝ বয়সি মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন (Body Recovered) পথচলতি মানুষজন। মহিলাকে দীর্ঘক্ষণ সেখানে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ জাগে তাঁদের মনে। খবর দেওয়া হয় গোলাবাড়ি থানায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং বছর পয়তাল্লিশের ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল মহিলা। হাসপাতালের চিকিৎসক মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কীভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ওই মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এদিকে গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। মাঝবয়সি ওই মহিলার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগ থেকে পাওয়া জিনিসপত্র দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলার নাম অঞ্জনা ভাণ্ডারি। বাড়ি কলকাতার কসবা থানা এলাকায়। কসবা থেকে কীভাবে ওই মহিলা হাওড়া লঞ্চঘাটে এলেন, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেই সব দিক খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন পুলিশকর্মী।
মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি নর্থ আব্দুল গফফর এদিন সন্ধেয় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ এবং কীভাবে অঞ্জনা ভাণ্ডারি নামে ওই মহিলা হাওড়ার লঞ্চঘাটে এলেন, সেই সব দিকগুলি জানার চেষ্টা করছে। এদিকে হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘মহিলাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’