CBI: বাড়িতে সিবিআই, হাসপাতালে ভর্তি উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান
Municipality Scam: পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে পুরসভায় বেশ কিছু নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে অর্জুন। বছর ৭০-এর অর্জুন সরকার অষ্টম শ্রেণি পাশ। বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে যোগ থাকলেও দলীয় রাজনীতির অন্দরে কোণঠাসা বলেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের দাবি।
উলুবেড়িয়া: পুজোর মুখে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে সিবিআই। রবিবারের পর সোমবারও পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ময়দানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিকে দিকে অভিযান শুরু করেছে তারা। ৫ পুরসভা-সহ ৮ জায়গায় হানা দিয়েছে সকাল থেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান অর্জুন সরকারের বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই। যদিও আপাতত তিনি বাড়িতে নেই। অসুস্থতার কারণে গত ৪ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অর্জুন সরকারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। শুধু অর্জুনের বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির ঠিক পিছনের একটি বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআইয়ের দল। সূত্রের খবর, সেই বাড়িতে অর্জুনের আত্মীয়রাই থাকেন। কিন্তু কে এই অর্জুন সরকার? কী তাঁর সামাজিক অবস্থান, কেনই বা তাঁর বাড়িতে হাজির হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল?
জানা যাচ্ছে, ২০০৯ সাল থেকে উলুবেড়িয়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন অর্জুন সরকার। ২০১৫ সালে জেতার পর পুরপ্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০১৯ সাল অবধি এই পদেই ছিলেন। তবে সে বছরই তাঁকে দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয়। দলীয় কোন্দলের জেরেই অর্জুনকে পদ থেকে সরানো হয় বলে সূত্রের খবর।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে পুরসভায় বেশ কিছু নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে অর্জুন। বছর ৭০-এর অর্জুন সরকার অষ্টম শ্রেণি পাশ। বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে যোগ থাকলেও দলীয় রাজনীতির অন্দরে কোণঠাসা বলেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের দাবি। জমি-বাড়ির দালালির পাশাপাশি নির্মাণ ব্যবসা রয়েছে তাঁর। ফুলেশ্বর এলাকায় নিজের বাড়ির পাশাপাশি এলাকায় আরও চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
দুই কন্য়ার বাবা অর্জুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরীতে একটি হোটেলও রয়েছে তাঁর। আরও বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সম্পত্তি। এমনও সূত্রের দাবি, শ্বশুরের ব্যবসা দেখাশোনা করেন তাঁর বড় জামাই অভিজিৎ চক্রবর্তী। যদিও সরকারি যে হলফনামা ভোটের সময় দিতে হয়, তাতে কিন্তু এসমস্ত সম্পত্তির উল্লেখ নেই। সিবিআই সূত্রে খবর, অর্জুন সরকারের একাধিক ‘গোপন’ সম্পত্তির হদিশ পেতে চলছে তল্লাশি।