Howrah: শিক্ষামূলক ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে নাচানাচি, প্রধান শিক্ষককে শোকজ জেলা শিক্ষা দফতরের

Howrah: হাওড়ার জেলা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান অজয় কুমার পাল জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কাছেও লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।

Howrah: শিক্ষামূলক ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে নাচানাচি, প্রধান শিক্ষককে শোকজ জেলা শিক্ষা দফতরের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 11:20 PM

হাওড়া: স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে বাস ছুটছে শিক্ষামূলক ভ্রমণে। পড়ুয়াদের সঙ্গেই একই বাসে যাত্রা করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারও। কিন্তু চলন্ত মাসেই হিন্দি গানে পড়ুয়াদের সঙ্গেই কোমর দোলাতে দেখা গেল প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। যা নিয়ে উত্তাল হাওড়ার সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইন্সটিটিউশন। ইতিমধ্যেই চলন্ত বাসে পড়ুায়াদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উত্তাল নাচের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়েই জোরদার চর্চা চলছে শিক্ষা মহলে। পক্ষে বিপক্ষে উঠে আসছে নানা মত। 

তবে এ ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন স্কুলেরই অধিকাংশ শিক্ষক। তবে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নাচে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যদিও শুরুতে ঘটনার কথা অস্বীকার করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শেষে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। আগামীতে স্কুলে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তাও তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, গত ৩ অগস্ট একাদশ শ্রেনীর ছাত্রদের নিয়ে বকখালিতে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমনের আয়োজন করা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। বকখালি যাওয়ার পথেই ঘটেছে এই ঘটনা। যেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেদার নাচতে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক তপব্রত বসুকে। 

নিন্দায় সরব অভিভাবকরা

এদিকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এ আচরণে নিন্দায় সরব হয়েছেন অভিভাবকদের একটা বড় অংশ। হাওড়ার জেলা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান অজয় কুমার পাল জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কাছেও লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের সহকারী শিক্ষক আনন্দ নারায়ন চৌধুরী বলেন, “আমি এক্সকার্সনে যাব না আগেই ঠিক করেছিলাম। কারণ আমি বুঝতে পারছিলাম এরকম কিছু একটা হবে। যে চারজনের নৃত্য আপনারা দেখেছেন তাঁরা এ ঘটনায় অনুতপ্ত নয়। এরপর আপনি আর কী বলতে পারেন।” 

কী বলছেন শিক্ষাবিদরা? 

আর এক সহকারী শিক্ষক প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের স্কুলে এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। আমাদের স্কুলের বিরাট সুনাম। কিন্তু, বর্তমান শিক্ষক সমাজের মধ্যে সত্যিই একটা অবক্ষয় হয়েছে। আমরা অবক্ষয় রোধের অনেক চেষ্টা করলেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি।” যদিও এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ আবদুল মতিন বলেন, “এটাকে কটূভাবে দেখার কোনও মানে হয় না। অনেক সময় এটা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের উন্নতিসাধনেও কাজে আসে। কোনও সামাজিক প্রোগ্রামে তাঁরা যদি এটা করে থাকে তাতে আপত্তির কিছু নেই। কোনটা শালীন কোনটা অশালীন তা নিয়ে বিভেদ থাকতে পারে। সংবিধান যেটাকে শালীনতা দেবে তার বাইরে কিছু নয়।”