Child Death: বাথরুমের কল খুলতেই গলগলিয়ে রক্ত, ট্যাঙ্ক থেকে মিলল পাঁচদিনের শিশুর দেহ

Howrah: নৃশংস ঘটনাটি হাওড়ার শ্রীনাথ পোড়েল লেনে। সেখানে জলের ট্যাঙ্ক থেকে পাঁচদিনের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Child Death: বাথরুমের কল খুলতেই গলগলিয়ে রক্ত, ট্যাঙ্ক থেকে মিলল পাঁচদিনের শিশুর দেহ
এই ট্যাঙ্ক থেকেই উদ্ধার হয়েছিল দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 5:32 PM

হাওড়া: পাঁচ দিন হয়েছে। পৃথিবীর আলো দেখেছিল সদ্যোজাত। পরিবারে এসেছিল খুশির হাওয়া। তবে স্থায়ী হয়নি। মায়ের পাশ থেকেই সন্তান হয়ে যায় চুরি। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শেষে বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকেই উদ্ধার ফুটফুটে শিশুটির পচা-গলা দেহ।

নৃশংস ঘটনাটি হাওড়ার শ্রীনাথ পোড়েল লেনে। সেখানে জলের ট্যাঙ্ক থেকে পাঁচদিনের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির বাবা, মেজো জেঠিমা, তাঁর ছেলে ও দিদাকে আটক করেছে পুলিশ।

পরিবার সূত্রে খবর, গত ১ অগাস্ট হাওড়া জেলা হাসপাতালে এক শিশুপুত্রের জন্ম দেন শ্রীনাথ পোড়েল লেনের বাসিন্দা শামা পরভিন। ৩ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে সন্তান সহ বাড়ি ফেরেন তিনি। খুশির আনন্দে মেতে ওঠা পুরো পরিবার। এলাকাবাসীর মধ্যে শুরু হয় মিস্টি বিতরণ। তবে ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৪ অগাস্ট আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় একরত্তি।

পরিবার সূত্রে খবর, রাত্রিবেলা মায়ের পাশেই শুয়েছিল শিশুটি। কিন্তু সকালবেলা ঘুম ভাঙতেই শামা দেখেন তাঁর কোলের সন্তান তাঁর কাছে নেই। এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। তবে বাড়ির ছাদে শিশুটির কিছু জামা-কাপড় দেখার পরে স্বাভাবিকভাবেই আশেপাশের বাড়ী গুলির ছাদে এলাকার মানুষ নিখোঁজ শিশুর খোঁজ চালায়। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি।

তবে শনিবার সকালে বাথরুমের কল খুলতেই জলের সঙ্গে রক্ত দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির সদস্যদের। তারপর বাথরুমের উপরে ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলতেই হতভম্ব মা-বাবা। ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে শিশুটির পচা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শিশুটিকে খুন করার অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের একাধিক সদস্যের অভিযোগ, দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইয়ের ছেলে হওয়ার কারণে উত্তরাধিকারী পাওয়ার ফলেই হিংসার বশবর্তী হয়েই এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় শিশু চুরির কোনও ছবি ধরা পড়েনি। তাছাড়াও রাতে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। সেই সময়ে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যদের ওপরেই সন্দেহ ঘনাচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃত শিশুর মেজো জেঠিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।